রবিবার পাকিস্তানের সংসদ সরকারের ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেটের অনুমোদন দিয়েছে। আরো বেলআউট তহবিল পেতে প্রাণপণ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) শর্ত মেনে বাজেটের সংশোধন করা হয়েছে।
জুনের মাঝামাঝি সময় আইএমএফ দেশটির প্রাথমিক বাজেট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে। সংস্থাটি বলে, এতে আরও প্রগতিশীল প্রক্রিয়ায় করদাতার বিস্তার ঘটানোর সুযোগের অপচয় হয়েছে।
তঅর্থমন্ত্রী ইশাক দার নতুন কর ও ব্যয় সংকোচনের উদ্যোগ ঘোষণার ১ দিন পর সংশোধিত বাজেটের অনুমোদন হল।
পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে মাত্র ১ মাসের আমদানি বিল মেটানো সম্ভব। এ পরিস্থিতিতে, পাকিস্তান তীব্র আকারের ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট সংকটে ভুগছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আইএমএফের তহবিল না আসলে এটি দেশটিকে ঋণখেলাপি হওয়ার দিকে ঠেলে দেবে।
২০১৯ সালে বর্ধিত তহবিল সুবিধার (ইএফএফ) আওতায় ৬৫০ কোটি ডলার পাওয়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে আর মাত্র ৫ দিন বাকি আছে। ৩০ জুন এর মেয়াদ শেষ হবে। আইএমএফ যাচাই বাছাইয়ের পর এ সময়ের মধ্যে পাকিস্তানকে বাকি থাকা ২৫০ কোটি ডলারের কিছু অংশ দিবে কী না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এই কিস্তিটি নভেম্বর থেকে অচলাবস্থায় রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ গত সপ্তাহে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভার সঙ্গে প্যারিসে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সম্মেলনের সাইডলাইনে বৈঠক করার পর বাজেট সংশোধন করা হয়। এই সম্মেলনের পর উভয় পক্ষের মধ্যে টানা ৩ দিন ভার্চুয়াল আলোচনা হয়।
৬৫০ কোটি টাকা তহবিলের নবম কিস্তি নিয়ে এ বছরের শুরুতে দর কষাকষি হয়েছে। এরপর থেকেই পাকিস্তান তহবিল প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যা এই ঋণ-জর্জরিত দেশটির জন্য অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক অর্থায়ন নিশ্চিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।