হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে প্রায় ১৫ লাখ হজযাত্রী

কম শাটার স্পিডে তোলা এই ছবিতে, মুসলিম তীর্থযাত্রীরা সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ হজের জন্য একত্রিত হয়ে কাবা শরীফ প্রদক্ষিণ করছেন। ৬ জুলাই, ২০২২। (ফাইল ছবি)

বিশ্বের মুসলমান হজযাত্রীরা আগামী সপ্তাহে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে শুক্রবার পবিত্র শহর মক্কা নগরীতে সমবেত হন। করোনভাইরাস মহামারীজনিত কারণে তিন বছরের কড়া বিধিনিষেধের পর বার্ষিক হজযাত্রা আবার স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে এসেছে।

সৌদি কর্মকর্তারা বলছেন, এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ বিদেশী তীর্থযাত্রী দেশে এসেছেন, যাদের বেশিরভাগই এসেছেন আকাশপথে। আরও আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া সোমবার হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলে, সৌদি আরবে বসবাসরত কয়েক হাজার সৌদি এবং অন্যান্যরাও তাদের সাথে যোগ দেবেন।

সৌদি কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা আশা করছেন যে তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা প্রাক-মহামারী পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। ২০১৯ সালে, ২৪ লাখেরও বেশি মুসলমান হজব্রত পালন করেছিলেন।

শুক্রবার, তীর্থযাত্রীরা জুমার নামাজে অংশ নিতে মক্কার প্রধান মসজিদে সমবেত হন। তখন অনেকেই কাবার চারপাশে সাতপাক প্রদক্ষিণ করেন। কাবার ঐ মসজিদের ভিতরের ঘন আকৃতির কাঠামোটি ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র স্থান। বৃহস্পতিবার রাতে, কাবার চারপাশের মার্বেল পাথরের বিস্তীর্ণ প্রাঙ্গন ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল, তারা প্রায় প্রত্যেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটছিল – যা মহামারী চলাকালীন দুই বছর আগে দৃশ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত, সে সময় অল্প সংখ্যক মানুষ একে অপরের থেকে অনেক দূরে দূরে ছিল।

তীর্থযাত্রীরা মক্কায় পৌঁছে কাবা ঘর প্রদক্ষিণ করেন, যা আরবি ভাষায় "তাওয়াফ" নামে পরিচিত, এবং কাবা প্রদক্ষিণকারী বিশাল জনসমাগম হজের প্রথম দিন পর্যন্ত স্থায়ী হবে।

হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি, এবং প্রত্যেক মুসলমানের জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করা ফরজ, যদি তারা শারীরিক ও আর্থিকভাবে তা করতে সক্ষম হয়। এটি বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশগুলির একটি।

করোনাভাইরাস মহামারী চলাকালীন আরোপিত বিধিনিষেধ ছাড়াই এই প্রথম এই বছরের হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। ২০২০ সালে দশ হাজারেরও কম তীর্থযাত্রী এবং ২০২১ সালে প্রায় ৬০,০০০ মানুষ হজ পালন করেছিলেন, আর তারা সকলেই ছিলেন সৌদি আরবের বাসিন্দা, কারণ সে সময় বিদেশ থেকে তীর্থযাত্রীদের আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। গত বছর, সৌদি আরব বিদেশ থেকে সীমিত সংখ্যক হজযাত্রীদের অনুমতি দেওয়ায় প্রায় ৯ লাখ মানুষ হজযাত্রা করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার সৌদি তথ্য মন্ত্রক ঘোষণা করেছে, বুধবারের মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ বিদেশী হজযাত্রী দেশটির আন্তর্জাতিক বন্দরগুলো দিয়ে এসেছেন, যার মধ্যে ১৪ লাখ ৩০ হাজার হজযাত্রী আকাশ পথে এসেছেন।