সুদানে দুই পক্ষের সংঘাত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে

খার্তুমের আকাশে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। তিন দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষে আবারও সুদানের রাজধানী ও প্রতিবেশী শহরে দুই পক্ষের সংঘাত শুরু হয়েছে(২৩ জুন, ২০২৩)

সুদানের সেনাবাহিনী ও র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে দুই মাস ধরে চলতে থাকা যুদ্ধ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। শুক্রবার বেশ কয়েক জায়গায় সংঘাত দেখা দেয়।

সুদানের বৃহত্তর রাজধানীর তিন শহরের মধ্যে দু’টি, ওমদুরমান ও খার্তুমে রাতভর আকাশ পথে হামলা ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত অব্যাহত ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর পশ্চিমে অবস্থিত শহরগুলোতেও সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে আছে ভঙ্গুর দারফুর ও করদোফান অঞ্চল।

উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী আল ফাশিরের আবাসিক এলাকায় দুই পক্ষের সংঘাত দেখা দিলে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে পড়ে।

উত্তর করদোফানের রাজধানী এবং খার্তুম ও দারফুরের মধ্যে পরিবহন ব্যবস্থা চালুর রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শহর এল ওবেইদে আরএসএফের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। সেখানে এই আধা-সামরিক বাহিনী ভারী অস্ত্রে সজ্জিত সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।

সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ হয়েছে পশ্চিম দারফুরে। সেখানে আরএসএফ সমর্থিত আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যরা শহরের বিভিন্ন অংশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। যার ফলে অসংখ্য মানুষ সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা ও মানবাধিকার নজরদারি সংস্থাগুলো।

আধা-সামরিক বাহিনীর ধারাবাহিক হামলার শিকার হয়ে পশ্চিম দারফুরের শহর এল জেনেইনার পরিস্থিতি সবচেয়ে উদ্বেগজনক হয়েছে।

এছাড়াও, সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে দক্ষিণ দারফুরের রাজধানী ও সুদানের অন্যতম বড় শহর নিয়ালায় সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবারও নিয়ালার দক্ষিণে সংঘাত অব্যাহত ছিল। এক বাসিন্দা জানান, বেসামরিক ব্যক্তিরা নিহত হয়েছেন। তবে তিনি বিস্তারিত জানাতে পারেননি।

দক্ষিণ করদোফানেও নতুন করে যুদ্ধ শুরুর ঝুঁকি রয়েছে। সেখানে কিছু এলাকা বিদ্রোহী দল এসপিএলএম-এনের দখলে রয়েছে। এ সপ্তাহের শুরুতে সেনাবাহিনী আরএসএফের বিরুদ্ধে এ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।