সংঘাত ও জলবায়ু সংকটে সোমালিয়ায়  খাদ্য সংকট বাড়ছে

ফাইলঃ জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন ১ মে সোমালিয়ার ডললোতে লাদান ক্যাম্পে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত একটি সোমালি পরিবারের সাথে দেখা করেছেন।

জাতিসংঘের বিশ্বখাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রধান বৃহস্পতিবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সংঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তন লক্ষ লক্ষ সোমালিকে বুভুক্ষার দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে।

সিন্ডি ম্যাককেইন এপ্রিলে সংস্থাটির নেতৃত্ব গ্রহণের পর তার প্রথম ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, “সোমালিয়াকে ২০২২ সালে দুর্ভিক্ষেরকবল থেকে রক্ষা করা গিয়েছিল কারণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় লাল রঙের সতর্ক সংকেতগুলি জ্বলতে দেখেছিল এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে তারা ছুটে এসেছিল।”

গত বছর, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক তহবিল বৃদ্ধি, মানবিক সহায়তা বাড়াতে সাহায্য করার পরে দুর্ভিক্ষ এড়ানো যায়। তবে দেশটি তা সত্ত্বেও মারাত্মকভাবেক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। জাতিসংঘের অনুমান অনুসারে সম্ভবত খরার কারণে ৪৩হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল।

এ বছর ডব্লিউএফপি অনুমান করেছে যে প্রায় ৬ কোটি ৬০ লক্ষ সোমালিয়াবাসীআরও খারাপ মাত্রার সংকট বা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি হবে এবং ৫ বছরেরকম বয়সী ১কোটি ৮০ লক্ষ শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগবে।

ম্যাককেইন বলেন, “এর মধ্যে ৪০ হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে।

দেশ এখন রেকর্ডকৃত সবচেয়ে দীর্ঘ খরার সম্মুখীন হচ্ছে। সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতের ফলেদেশের বিভিন্ন অংশে বন্যা দেখা দিয়েছে। জলবায়ুর হঠাৎ পরিবর্তনে ফসল এবং প্রচুরগবাদি পশু ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ১ কোটি ৭ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

জাতিসংঘের বেশিরভাগ সহায়তা কর্মসূচির মতোই ডব্লিউএফপি সোমালিয়ায় তাদের কার্যক্রম চালানোর জন্য নগদ অর্থের মারাত্মক ঘাটতিতে ভুগছে। ম্যাককেইন বলেন, এপ্রিলের শেষে সংস্থাটিতে প্রতি মাসে ৪৭ লক্ষ মানুষকে সাহায্য দান করা থেকে তা কমিয়ে ৩০ লক্ষ্যে নামিয়ে আনা হয়েছিল এবং ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও কমিয়ে আনতে হতে পারে।