জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কের ওপর জোর দিলেন মোদি ও বাইডেন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার হোয়াইট হাউজে তার সরকারি রাষ্ট্রীয় সফর শুরু করেছেন এবং একটি বিষয় তিনি স্বীকার করেছেন যে সবকিছুর চেয়েও যা বেশি তা হচ্ছে দুই দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধন।
এই দুটি দেশ পরস্পরের সঙ্গে অনেক কিছু ভাগাভাগি করে। এই বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ শাসনামলের ভাষাগত উত্তরাধিকার, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার মতো অনেক কিছু। মোদি বলেন,মানুষের মধ্যকার বন্ধনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে সবার উপরে, যেমনটি বিশ্লেষকরা বলছেন যে দুই নেতা সম্পর্ককে“একটি নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার" প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
হোয়াইট হাউজের প্রথম অনুষ্ঠানে অত্যন্তব্যস্ত কর্মসূচির মাঝে জাতীয় বিজ্ঞান ফাউন্ডেশন পরিদর্শনকালে মোদি বলেন,“আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছানোর পরপরই আমি তরুণ ও সৃজনশীল মনের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে সাক্ষাত করার সুযোগ পেয়েছি।
সেখানে তিনি এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করেন। তারা তাদের অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রকল্পগুলি তাদের কাছে বর্ণনা করেন। ভার্জিনিয়ারএকজন হাই স্কুলের শিক্ষার্থী ফার্স্টলেডিকে সেমিকন্ডাক্টর উত্পাদনে তারকাজ ব্যাখ্যা করেন; মুম্বাইয়ের একজন ডক্টরাল শিক্ষার্থী তাকে তার পানির নিচের রোবটটি দেখান , যা ঝিনুক ধরার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রায় ২৭ কোটি মানুষ বাস করেন। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ-দক্ষতা সম্পন্ন অতিথি কর্মী কর্মসূচীর প্রায়তিন-চতুর্থাংশ ভারতীয় নাগরিক এবংবিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে তাদের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছাত্র ভিসায় আছেন।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর ভারতের জনসংখ্যা অন্য সব দেশের তুলনায় চেয়ে বেশি। ভারতের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি অতিক্রম করেছে। যা তৃতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশ যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চারগুণ বেশি।
মোদী বলেন, “বন্ধুগণ,প্রবৃদ্ধির গতিকে আজ ধরে রাখতে ভারত ও আমেরিকার প্রতিভার প্রয়োজ “। তিনি বলেন, ”আমেরিকায় একদিকে যেখানে উচ্চমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে অন্যদিকে ভারতে বিশ্বের বৃহত্তম যুব প্রতিভা রয়েছে। আর তাই আমার আত্মবিশ্বাস রয়েছে যে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে অংশীদারিত্ব অবশ্যই টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি হিসাবেই প্রমাণিত হবে।