ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের উপর ইসরাইলি ড্রোন-হামলা, পশ্চিম তীরে সহিংসতা বৃদ্ধি

অধিকৃত পশ্চিম তীরে রামাল্লাহ শহরের কাছে তুরমুস আয়াতে ইসরাইলিদের জ্বালিয়ে দেওয়া এক বাড়ির মধ্যে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি। ২১ জুন, ২০২৩।

ইসরাইলি ড্রোন হামলায় পশ্চিম তীরে তিন বন্দুকধারী জঙ্গি নিহত হয়েছে। বসতিস্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনি শহরে হামলা করে গাড়ি ও বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই এই হামলা হয়। একদিন আগে হামাস গোষ্ঠীর আক্রমণের প্রত্যাঘাতেই এই ড্রোন হামলা।

অধিকৃত পশ্চিম তীরে কয়েক দিন ধরে চলা হিংসার মধ্যে জেনিন শহরের কাছে এই হামলা চালানো হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে পশ্চিম তীরে সেনারা নিয়মিত আঘাত হেনে চলেছে যার ফলে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সাথে বারবার সংঘর্ষ বেঁধেছে।

ইসরাইলি সেনা (আইডিএফ) জানিয়েছে, জালামাহ শহরের কাছে গুলি চালানোর পর একদল জঙ্গিকে একটি গাড়ির মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

ইসলামিক জিহাদ জঙ্গি গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে বলেছে, দু’জন ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধা এবং তৃতীয়জন আকসা মার্টার্স ব্রিগেডের। এটি ফাতাহ আন্দোলনের এক সশস্ত্র শাখা।

আইডিএফ জানিয়েছে, নজরদারি ড্রোন সাধারণ ব্যাপার। এই হামলা হয়েছে এলবিট হেরমেস ড্রোন দিয়ে। জেনিন অভিযানে হেলিকপ্টার গানশিপের বিরল ব্যবহার প্রত্যক্ষ করা গেছে যা ২০০৬ সালের পর থেকে ইসরাইলি সেনা এই প্রথম পশ্চিম তীরে প্রয়োগ করেছে।

আইডিএফ মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি এক ট্যুইটে বলেন,”এটা বিপদ নির্মূল করার ব্যাপার। ক্রসিং-এ আমরা একটি গাড়ি থেকে গুলি ছুঁড়তে দেখি এবং সেই বিপদকে নির্মূল করে ফেলি।”

কয়েক ঘন্টা আগে, হামাসের বন্দুকবাজদের হাতে চার ইসরাইলির হত্যার প্রত্যুত্তরে পশ্চিম তীরে তাণ্ডব চালায় ইসরাইলি বসতিস্থাপনকারীরা। উল্লেখ্য, এলি বসতির কাছে সড়ক-সংলগ্ন এক রেস্তোরাঁয় গুলি চালিয়েছিল হামাস ওই বন্দুকধারীরা।

ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, রামাল্লাহর কাছে সমৃদ্ধশালী শহর তুরমুস আয়াতে গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। গলগল করে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে আকাশে। এক আহত ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলছেন লোকজন।