দারফুর থেকে পায়ে হেঁটে পালানোর সময় সুদানের নাগরিকদের ওপর গুলিবর্ষণ,হত্যা

যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানে দুজন জেনারেলের মধ্যে চলমান লড়াইয়ের সময়ে পশ্চিম দারফুর রাজ্যের রাজধানী এল জেনেইনার একটি রাস্তায় একটি সামরিক সাঁজোয়া যানের সামনে একটি আচ্ছাদিত মরদেহ দেখা যায়। ১৬ জুন, ২০২৩।

দারফুরের একটি শহর এল জেনেইনা থেকে পালিয়ে আসা সুদানের বেসামরিক নাগরিকদের ক্রমবর্ধমান একটি সংখ্যা গত সপ্তাহে পায়ে হেঁটে চাদে পালানোর চেষ্টা করার সময় নিহত বা গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।

গত দুইমাস ধরে আরব যাযাবর উপজাতির মিলিশিয়াদের সাথে র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) সদস্যরা মিলে এল জেনেইয়ানায় সহিংসতা ঘটিয়েছে। আরএসেফ রাজধানী খার্তুমে সুদানের সেনাবাহিনীর সাথে ক্ষমতার লড়াইয়ে নিযুক্ত একটি সামরিক গোষ্ঠী। প্রত্যক্ষদর্শী এবং অধিকারকর্মীরা একথা জানায়।

জাতিসংঘের অনুমান অনুসারে, এপ্রিলে শুরু হওয়া যুদ্ধটি প্রধানত রাজধানী এবং দারফুর থেকে ২৫ লাখের বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। সেখানে ইতোমধ্যে দুই দশকের সংঘাত এবং লোকজন ব্যাপক বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছিল। প্রায় ৬ লাখ মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ দারফুর থেকে চাদের উদ্দেশে পালিয়ে গেছে।

বুধবার সকালে শেষ হওয়া সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি খার্তুমে লড়াইয়ে স্থবিরতা এনে দিয়েছিল। তবে বাসিন্দারা জানিয়েছে, লুটপাট ছড়িয়ে পড়েছে এবং সেনাবাহিনী বলেছে, আরএসএফ মঙ্গলবার গভীর রাতে গোয়েন্দা সদর দপ্তরে বিশাল অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সুদান এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য অতিরিক্ত মানবিক সহায়তায় প্রায় ১৭ কোটি ২০ লাখ ডলার দেবে। আন্তর্জাতিক দাতারা সুদান এবং আশেপাশের অঞ্চলের জন্য প্রায় ১৫০ কোটি ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।