ফিলিস্তিনি হামলাকারীদের গুলিতে ৪ ইসরাইলি নিহত হবার পর পশ্চিম তীরে প্রতিশোধমূলক হামলা

পশ্চিম তীরের আ লাবান আল-শারকিয়েহ গ্রামে এক ফিলিস্তিনি ব্যক্তি কিছু পোড়া গাড়ি দেখছেন (২১ জুন, ২০২৩)

মঙ্গলবার ইসরাইলের পশ্চিম তীরের কাছাকাছি এক মহল্লায় রেস্তোরাঁ ও গ্যাস স্টেশনে ২ ফিলিস্তিনি নির্বিচারে গুলি চালালে ৪ ইসরাইলি নিহত হন এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। এরপর তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অধিকৃত এ অঞ্চলে এক দিন আগেই ইসরাইলের পক্ষ থেকে ভয়াবহ এক সামরিক অভিযান চালানো হয়।

এ ঘটনার পর পশ্চিম তীরের উত্তরে বিভিন্ন এলাকায় ইসরাইলিরা প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর চেষ্টা করে। যার ফলে গত ফেব্রুয়ারির সংঘাতের মতো পরিস্থিতির উদ্রেক হওয়ার আশংকা দেখা দেয়। সেবার অসংখ্য ফিলিস্তিনি বাড়ির ক্ষতি হয় এবং বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত হন।

মঙ্গলবারের সহিংসতায় পশ্চিম তীরের ভঙ্গুর পরিস্থিতির প্রকৃত রূপ উন্মোচিত হয়েছে। সোমবার ইসরাইলের সামরিক বাহিনী উত্তরাঞ্চলের জেনিন শরণার্থী শিবিরে গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ফিলিস্তিনি-ইসরাইলি সংঘাতের সূত্রপাত ঘটায়। এ ঘটনায় ৬ ফিলিস্তিনি নিহত ও অসংখ্য আহত হন। পরবর্তীতে ফিলিস্তিনি বিদ্রোহীরা ইসরাইলের সামরিক পরিবহন ধ্বংসের জন্য সড়কে পাশে বোমা পেতে রাখে এবং আটকে পড়া সেনাদের উদ্ধার করার জন্য ইসরাইলি বাহিনী হেলিকপ্টার গানশিপ মোতায়েন করে।

বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এ অঞ্চলে সহিংসতা বেড়েছে এবং এ বছর অন্তত ১৩০ জন ফিলিস্তিনি ও ২৪ জন ইসরাইলি মারা গেছেন। এর ফলে সংঘাতে উভয় পক্ষে আগামীতে আরও বড় আকারের ক্ষয়ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে।

জেনিন শরণার্থী ক্যাম্পে এক ১৫ বছর বয়সী বালক নিহত ও ৯০ জন আহত হওয়ার পর মঙ্গলবারের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, গোলাগুলিতে আহত ৪৮ বছর বয়সী আমজাদ আবু জাস এই হামলায় ষষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে মঙ্গলবার মারা যান। আরও ১২ জন ফিলিস্তিনি আশংকাজনক অবস্থায় আছেন। ৮ ইসরাইলি সেনাও আহত হন।