যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড বলছে, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে ৫ ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া এক ডুবোযান নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর সেটির খোঁজে অভিযান চালানোর সময় একটি কানাডীয় বিমান পানির নিচে শব্দ চিহ্নিত করেছে।
কানাডীয় পি-থ্রি বিমান শব্দগুলো চিহ্নিত করার পর সে অনুযায়ী ডুবোযানটিকে খোঁজার উদ্যোগের অবস্থান বদলানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কিছু পাওয়া না গেলেও এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আন্তর্জাতিক জাহাজ ও বিমানের পাশাপাশি পানির নিচে চলতে পারে এরকম একটি রোবটও টাইটানিকের আশেপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেছে। যদি ডুবোযানটিকে খুঁজে পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে সেটিকে উদ্ধার করার জন্য উপযুক্ত যন্ত্রপাতি সেখানে দ্রুত পৌঁছে দেওয়ারও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার মোবিলিটি কমান্ডের মুখপাত্র জানান, সেনাবাহিনীর ৩টি সি-১৭ পরিবহন বিমানকে উদ্ধারকাজে সহায়তা করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিমানগুলো নিউ ইয়র্কের বাফেলো থেকে নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেইন্ট জনের মধ্যে বাণিজ্যিক ডুবোযান ও অন্যান্য সহায়ক সরঞ্জাম পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ছিল। কানাডার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ১টি টহল বিমান ও ২টি জাহাজ পাঠিয়েছে, যার মধ্যে একটি পানির নিচে বিশেষায়িত স্বাস্থ্য সেবা দিতে সক্ষম।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কার্বন-ফাইবারের তৈরি ডুবোযানটি রবিবার রাতে ফিরে আসার কথা থাকলেও আসেনি। যার ফলে সেইন্ট জন থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরে পানিতে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। ডুবোযানের নিয়ন্ত্রণভার ছিল এই অভিযানের আয়োজক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টকটোন রাশ। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন একজন ব্রিটিশ অভিযাত্রী, এক পাকিস্তানী ব্যবসায়ী পরিবারের ২ সদস্য ও একজন টাইটানিক বিশেষজ্ঞ।