সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারের দূতাবাস পুনরায় চালু

মানচিত্রে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলি : সৌদি আরব, বাহরাইন, কাতার, ওমান, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার কয়েক বছরের টানাপোড়েনের পর সোমবার,তাদের দূতাবাস পুনরায় খোলার ঘোষণা দিয়েছে।

দুই দেশের বিবৃতিতে বলা হয়, আবুধাবিতে কাতার দূতাবাস, দুবাইয়ে কাতার কনস্যুলেট এবং কাতারের রাজধানী দোহায় আমিরাত দূতাবাস পুনরায় কার্যক্রম শুরু করেছে। বিবৃতিতে রাষ্ট্রদূতরা ছিলেন কিনা বা মিশনগুলি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল কিনা তা বলা হয়নি।

কাতার জানিয়েছে, কূটনৈতিক মিশন পুনরায় চালু হওয়ায় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেলিফোনে একে অপরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

২০১১ সালে আরব বসন্ত বিক্ষোভের পরপরই ক্ষমতা দখলকারী মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও সমর্থনের কারণে ২০১৭ সালে সৌদি আরব, বাহরাইন ও মিশরের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতও কাতারকে বয়কট ও অবরোধ আরোপ করে। পারস্য উপসাগরের অন্যান্য আরব দেশগুলো এ ধরনের গোষ্ঠীগুলোকে সন্ত্রাসী হিসেবে দেখে- যার মধ্যে রয়েছে মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড যারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে জয়লাভ করলেও এক বছরের বিভাজনমূলক শাসনের পর ক্ষমতাচ্যুত হয়।

অন্যান্য আরব দেশগুলির মতো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র কাতার, বারবার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন করার কথা অস্বীকার করেছে। এটি ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস এবং আফগান তালিবানের সাথে আলোচনার মূল মধ্যস্থতাকারী হিসাবেও কাজ করেছে।

উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে নজিরবিহীন কূটনৈতিক সংকট প্রাথমিকভাবে সশস্ত্র সংঘাতের আশঙ্কা জাগিয়ে তোলে। কিন্তু কাতারের গ্যাস সম্পদ এবং তুরস্ক ও ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দেশটিকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে রক্ষা করেছে।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বয়কট তুলে নেওয়া হয়। গত বছরের শেষের দিকে কাতার সৌদি আরব, মিশর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সফরকারি নেতাদের স্বাগত জানায়। সে সময় তারা বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন করেছিল।