ভারতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বিরোধী দলের সম্মেলন শুক্রবার; মমতার সাক্ষাৎ লালুপ্রসাদের সঙ্গে

ভারতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বিরোধী দলের সম্মেলন শুক্রবার; মমতার সাক্ষাৎ লালুপ্রসাদের সঙ্গে

আগামী ২৩ জুন শুক্রবার ভারতের বিহারের পাটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের ডাকে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিরোধী দলগুলির মেগা সম্মেলন। আগের দিন ২২ জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই পাটনায় পৌঁছে যাবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস-এর নেত্রীর পরামর্শেই শুক্রবারের সম্মেলনের আয়োজন করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক হবে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সরকারি বাসভবনে।

তবে এই সম্মেলনের আগের দিন বৃহস্পতিবার পাটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান কর্মসূচি হল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে সাক্ষাৎ। পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক দপ্তর নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বিকাল ৩টে নাগাদ বিমানে পাটনার উদ্দেশে রওনা হবেন।

আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর যে কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়েছে তা হল বিমান বন্দর থেকে সোজা অদূরেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদের বাড়িতে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লালুপ্রসাদের স্ত্রী বিহারের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর নামে বরাদ্দ বাংলোতেই থাকেন আরজেডি সুপ্রিমো। একই বাড়িতে থাকেন তাঁদের দুই পুত্র তেজপ্রতাপ ও তেজস্বী।

তৃণমূল সূত্রের খবর, লালুপ্রসাদের সঙ্গে মমতার বৈঠকটি মূখ্যত সৌজন্য সাক্ষাৎ। দু’জনের ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক বহু পুরনো। দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী হওয়ার আগে ওই পদে ছিলেন লালুপ্রসাদ। তাছাড়া দীর্ঘদিন সংসদেও তাঁরা এক সঙ্গে ছিলেন। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রীকে ‘বহন’ অর্থাৎ ছোট বোন বলে সম্মোধন করেন।

কিন্তু পশুখাদ্য কেলেঙ্কারতে অভিযুক্ত হওয়ায় লালুপ্রসাদের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। তারপর বহু বছর রাঁচির জেলে আটক ছিলেন তিনি ফলে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও আরজেডি সুপ্রিমো জেলে থাকার সময় নানা সূত্রে এই প্রবীণ নেতার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। মাস কয়েক আগে সিঙ্গাপুরে কিডনি ট্র্যান্সপ্ল্যান্ট করিয়ে এসেছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এখন অনেকটাই সুস্থ। তাঁদের শেষবার দেখা হয়েছিল ২০১৫ সালে নীতীশ কুমারের শপথ অনুষ্ঠানের মঞ্চে। সেই সময়ে লালুপ্রসাদ ও নীতীশ জোট করে ভোটে লড়াই করেছিলেন।