৩৭ জন ছাত্রের হত্যাকারিদের বিরুদ্ধে আরও সৈন্য পাঠাচ্ছে উগান্ডা

পশ্চিম উগান্ডার এমপোন্ডওয়েতে বিদ্রোহী গোষ্ঠী অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এডিএফ) এর সাথে জড়িত জঙ্গিরা একাধিক লোককে হত্যা ও অপহরণ করার পর, এমপন্ডওয়ে লুবিরিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাইরে জড়ো হয় স্থানীয়রা। ১৭ জুন, ২০২৩।

পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওওয়েরি মুসেভেনি রবিবার পশ্চিম উগান্ডায় আরও সৈন্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার রাতে ওই এলাকায় ইসলামিক স্টেট গ্রুপের সাথে জড়িত একটি গোষ্ঠীর হামলায় কমপক্ষে ৩৭ জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র নিহত হয়।

বিদ্রোহী অ্যালাইড ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস-এর (এডিএফ) সদস্যরা শুক্রবার গভীর রাতে কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের সীমান্তবর্তী এমপন্ডওয়ের লুবিরিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে ওই ছাত্রদের হত্যা করে।

দেশটির সামরিক বাহিনী ও পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীরা ছয় ছাত্রকেও অপহরণ করে সীমান্তের ওপারে বিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানের দিকে পালিয়ে গেছে। তাদের ভাগ্য এখনো অজানা।

মুসেভেনি এক বিবৃতিতে বলেন, "আমরা এখন রোয়েনজোরি পর্বতের দক্ষিণে আরও সৈন্য পাঠাচ্ছি।"

শনিবার, বেসরকারি মালিকানাধীন এনটিভি উগান্ডা টেলিভিশন জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১-এ। তবে রাষ্ট্র-চালিত নিউ ভিশন সংবাদপত্র বলেছে যে এই সংখ্যা ৪২ ছিল। নিউ ভিশন জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৩৯ জন ছাত্র এবং পালানোর সময় কয়েকজন হামলাকারী বোমা ফাটালে কয়েকজন নিহত হয়।

এই হামলা জাতিসংঘ, আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং উন্নয়ন সহযোগী পূর্ব আফ্রিকান আন্তঃসরকার কর্তৃপক্ষসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্যাপক নিন্দা জানিয়েছে। হামলায় হতবাক উগান্ডাবাসীও।

এডিএফ মূলত উগান্ডার সামরিক বাহিনীর দ্বারা পরাজিত একটি গোষ্ঠী। কিন্তু অবশিষ্টাংশরা পূর্ব কঙ্গোর বিস্তীর্ণ জঙ্গলে পালিয়ে যায়, যেখান থেকে তারা তাদের বিদ্রোহ বজায় রেখে কঙ্গো এবং উগান্ডায় বেসামরিক এবং সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে, এপ্রিলে, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলের একটি গ্রামে এডিএফ হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ২০ জনকে হত্যা করে।