দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সিরীয়দের জন্য ১০৩০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দাতা দেশগুলোর

ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কাউন্সিল ভবনে সাপোর্টিং দ্য ফিউচার অফ সিরিয়া অ্যান্ড দ্য রিজিয়ন শীর্ষক বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল; ১৫ জুন, ২০২৩।

আন্তর্জাতিক দাতারা বৃহস্পতিবার দেশের ভেতরে এবং বিদেশে শরণার্থী হিসেবে অবস্থানরত যুদ্ধ, দারিদ্র্য এবং ক্ষুধা পীড়িত লক্ষ লক্ষ সিরীয়দের জন্য ১০৩০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ব্রাসেলসে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আয়োজিত বার্ষিক সম্মেলনে ৫৭টি দেশ এবং ৩০টি আন্তর্জাতিক সংস্থা সিরিয়ার জন্য যে তহবিল যোগানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে; তা জাতিসংঘের মানবিক আবেদন করা অংকের চেয়ে প্রায় ৮০ কোটি ডলার কম।

সম্মেলনের প্রতিশ্রুত অর্থায়নের মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে অবস্থিত সিরীয় এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে বসবাসকারী প্রায় ৫৭ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে; বিশেষ করে তুরস্ক, লেবানন ও জর্ডানে বসবাসরত শরণার্থীদের; ত্রাণ-সহায়তা প্রদানে সাহায্য করবে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সম্মেলনে দাতাদের কাছে ১১১০ কোটি ডলার সহায়তার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এই পরিমাণ সাহায্য চাওয়াকে তিনি “বিশ্বব্যাপী আমাদের বৃহত্তম আবেদন” বলে অভিহিত করেন।

গুতেরেস বলেন, তহবিল সংকটের কারণে, সিরিয়ার ৫৫ লাখ মানুষ, যারা খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন, তাদের জন্য ব্যাপক ভিত্তিতে সহায়তা হ্রাস করতে হবে।

এই প্রতিশ্রতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো রাজনৈতিকভাবে অনিশ্চিত এক সময়ে । সম্প্রতি আসাদ আরব লীগে সিরিয়ার প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে একটি বড় রাজনৈতিক সুযোগ পেয়েছেন। সৌদি আরবের নেতৃত্বে, সিরিয়ার প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি দেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির চলমান নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকট সমাধানের লক্ষ্যে, তাদের সাথে আলোচনা করছে। তারা আশা করছে যে, এর মধ্য দিয়ে ব্যাপক সংখ্যায় শরণার্থীরা প্রত্যাবর্তন শুরু হবে।

ব্রাসেলসে গত বছরের সম্মেলনে ৬৭০ কোটি ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো।তা ছিলো জাতিসংঘের আবেদন করা তহবিল থেকে দেড়শো কোটি ডলার কম। সেই অর্থ সিরিয়ার অভ্যন্তরে থাকা এবং বাইরে থাকা শরণার্থীদের সহায়তা জন্য প্রায় সমভাবে ভাগ করে দেয়া হয়েছিলো।