সুদানের ভয়ংকর যুদ্ধ বৃহস্পতিবার তৃতীয় মাসে পৌঁছুলো ঠিক যখন গভর্ণরের হত্যাকান্ড দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলে লড়াইয়ের নতুন মাত্রা যুক্ত করলো। ১৫ এপ্রিল থেকে আব্দেল ফাতাহ আল বুরহানের নেতৃত্বে নিয়মিত সেনাবাহিনী এবং তাঁর সাবেক সহযোগী মোহাম্মদ হামদানের নেতৃত্বে আধা সামরিক বাহিনী রেপিড সাপোর্ট ফোর্সেস ( আর এস এফ ) এমন সংঘাতে লিপ্ত রয়েছ যা রাজধানী খার্তুমের গোটা মহল্লাগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছ।
এই লড়াই দ্রুতই বিভিন্ন প্রদেশে, বিশেষত দারফুরে, ছড়িয়ে পড়ে এবং আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশান এন্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট গত মাসের সর্বসাম্প্রতিক সংখ্যার হিসেবে বলছে যে সেখাএন কমপক্ষে ১,৮০০ লোককে হত্যা করা হয়েছে।
বুরহান, পশ্চিম দারফুর রাজ্যের গভর্ণর খামিস আব্দুল্লাহ আবাকাকে বুধবার “বিশ্বাসঘাতকতামূলক হামলার” জন্য আরএসএফকে অভিযুক্ত করেন।
সৌদি টেলিভশনে ফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবাকার আধা সামরিক বাহিনীর সমালোচনা করায় তাকে প্রথমে আটক করা হয় এবং পরে হত্যা করা হয়।
দারফুরের আইনজীবিদের সমিতি এই হত্যকান্ডকে,
“বর্বর, নির্মম ও নিষ্ঠুর” বলে এর নিন্দা করেছে।
ইন্টারন্যশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইেগ্রশানের মতে সুদানের যুদ্ধে গোটা দেশজুড়ে প্রায় ২২ লক্ষ লোককে তাদের বাড়ী-ঘর থেকে উৎখাত করা হয়েছে। জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলছে, এদের মধ্যে ৫,২৮,০০০ ‘এরো বেশি লোক পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
উভয় পক্ষের তরফ থেকে একাধিকবার অস্ত্রবিরতি ভেঙ্গে পড়ায় , যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি মধ্যস্থতার প্রচেষ্টাও থমকে রয়েছে। জাতিসংঘের মতে দেশটির জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক, রেকর্ড সংখ্যক প্রায় আড়াই কোটি লোকের সাহায্য প্রয়োজন। তারা প্রয়োজনীয় অর্থায়নের এক ভগ্নাংশ পেয়েছে মাত্র।
আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি পাবার জন্য সৌদি আরব আগামি সপ্তাহে একটি সম্মেলনের কথা ঘোষণা করেছে।
তবে বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও , জাতিসংঘের সর্বসাম্প্রতিক হিসেব অনুযায়ী ১৮ লক্ষ লোকের কাছে সাহায্য পৌঁছেছে, যা কীনা প্রয়োজনের তূলনায় অত্যন্ত কম।