অস্ট্রেলিয়া জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক অনির্দিষ্ট উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পার্লামেন্টের কাছে রাশিয়ার নতুন দূতাবাস নির্মাণের পরিকল্পনায় বাধা দিচ্ছে। এ বিষয়ে রাশিয়ার কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং ইউক্রেনের জন্য সামরিক ও মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বৃহস্পতিবার বলেন, পার্লামেন্ট ভবনের এত কাছে একটি নতুন রুশ দূতাবাস জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। তার সরকার জরুরী আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে যার ফলে ঐ জমির উপর থেকে রাশিয়ান ফেডারেশনের যে লিজ আছে তা বাতিল করা হবে। ঐ পদক্ষেপের ফলে ক্যানবেরায় শহরতলিতে রাশিয়ার বর্তমান দূতাবাসের উপর কোন প্রভাব ফেলবে না এবং দূতাবাসটি অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পার্লামেন্টে থেকে গাড়িতে যেতে প্রায় ১০ মিনিটের পথ।
আলবানিজ বলেন, “মস্কোতে অস্ট্রেলিয়ার কূটনৈতিক উপস্থিতির মতোই (রাশিয়ার) উপস্থিতি অব্যাহত থাকবে”।
পার্লামেন্ট ভবন থেকে দুই কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে প্রস্তাবিত রাশিয়ার নতুন দূতাবাস কী ধরনের নিরাপত্তা হুমকিসৃষ্টি করবে তা অস্ট্রেলীয় নেতা নির্দিষ্ট করে বলেননি। তবে তিনি ক্যানবেরায় সংবাদদাতাদের বলেন, এতে ঝুঁকি ছিল অনেক বেশী।
চলতি বছরের শুরুর দিকে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো রুশ গুপ্তচরদের একটি তথাকথিত আস্তানার সন্ধান পেয়েছে যারা নিজেকে কূটনীতিক বলে পরিচয় দিচ্ছিল। ঐ সময় নিরাপত্তা প্রধানরা বলেছিলেন যে অস্ট্রেলিয়া একটি “নজিরবিহীন” গুপ্তচর হুমকির মুখোমুখি হয়েছে তবে কোন দেশ বা দেশগুলি এতে জড়িত তা উল্লেখ করেননি।
কিয়েভের যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য অস্ট্রেলিয়া যথেষ্ট কাজ করছে না এমন অভিযোগ আলবানিজ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
নেটোভুক্ত নয় এমন দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ইউক্রেনকে সবচেয়ে বেশী সাহায্যকারী দেশ যারা ক্ষেপণাস্ত্র এবং সাঁজোয়া বাহক যানগুলো সরবরাহ করছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ক্যানবেরা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ রাশিয়ার শত শত রাজনীতিবিদ, সামরিক কমান্ডার এবং ব্যবসায়ীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। অন্য কোনো দেশের বিপক্ষে এটাই অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় শাস্তি।
ক্যানবেরা রাশিয়ার তেল, পেট্রোলিয়াম, কয়লা ও গ্যাস আমদানিও নিষিদ্ধ করেছে।