সংবাদের উৎস হিসেবে ইনফ্লুয়েনসাররা সাংবাদিকদের থেকে এগিয়ে, বলছে সমীক্ষা

ফাইল ছবি—ইনফ্লুয়েন্সার মুরিলো দুয়ার্তে ব্রাজিলের সাও পাওলোতে অবস্থিত বস্তি থেকে লাইভ স্ট্রিমিং করছেন। (১৯ এপ্রিল, ২০২৩)

বুধবার যুক্তরাজ্য ভিত্তিক রয়টার্স ইন্সটিটিউটের এক সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই সমীক্ষায় জানা গেছে, টিকটক ইনফ্লুয়েন্সার ও তারকারা ক্রমশ তরুণদের কাছে সংবাদের মূল উৎস হিসেবে সাংবাদিকদের পেছনে ফেলছেন।

সমীক্ষায় জানা গেছে, টিকটক ও স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহারকারীদের ৫৫ শতাংশ এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের ৫২ শতাংশ স্বনামধন্য “ব্যক্তিত্বদের” কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে থাকেন। তরুণদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ৩ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাত্র ৩৩ থেকে ৪২ শতাংশ ব্যবহারকারী মূলধারার সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের সংবাদের মূল উৎস হিসেবে বিবেচনা করেন।

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ রয়টার্স ইন্সটিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব জার্নালিজমের পক্ষ থেকে ৪৬টি দেশের ৯৪ হাজার মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়ে এই সমীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “মূল ধারার সাংবাদিকরা টুইটার ও ফেসবুকে সংবাদ ও এ সংক্রান্ত আলোচনায় নেতৃত্ব দিলেও ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট ও টিকটকের মতো অপেক্ষাকৃত নতুন নেটওয়ার্কগুলোতে ব্যবহারকারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে হিমশিম খান।”

এই সমীক্ষার মূল লেখক নিক নিউম্যান যুক্তরাজ্যের ম্যাট ওয়েলান্ডের কথা উল্লেখ করেন, যিনি টিকটকে তার ২৮ লাখ গ্রাহকের সঙ্গে দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, তরুণদের কাছে “সংবাদ” মানে শুধু রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মতো প্রথাগত বিষয়গুলোই নয়, তাদের কাছে “দৈনন্দিন জীবনে ক্রীড়া, বিনোদন, তারকাদের নিয়ে গুজব, চলতি ঘটনা, সংস্কৃতি, শিল্প, প্রযুক্তি—যে কোনো খাতের নতুন কিছু হতে পারে।”

বিশ্বব্যাপী সংবাদের উৎস হিসেবে সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে ফেসবুক এখনো তার শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে এই মাধ্যমের প্রভাব কমছে। ২০১৬ সালে ৪২ শতাংশ মানুষ সংবাদের জন্য ফেসবুক ব্যবহার করলেও এখন এ সংখ্যা ২৮ শতাংশে নেমেছে।

১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৪৪ শতাংশই টিকটক ব্যবহার করেন এবং ২০ শতাংশ এই অ্যাপকে সংবাদের মূল উৎস হিসেবে বিবেচনা করেন। গত বছরের চেয়ে এই হার ৫ শতাংশ বেশি।