যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার মিয়ামিতে ফেডারেল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির হয়ে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবী করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তিনি হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যাওয়ার পরও, শত শত সরকারি অতি গোপনীয় নথিপত্র অবৈধভাবে ধরে রেখেছিলেন, উপরন্তু সেগুলি পুনরুদ্ধার করার সরকারী প্রচেষ্টাকে বাধা দিয়েছিলেন।
ট্রাম্প গত সপ্তাহে ইতিহাস রচনা করেন, যখন একটি ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরি তাকে তার ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো’র বাসভবন এবং ব্যক্তিগত ক্লাবে অতি গোপনীয় জাতীয় প্রতিরক্ষা তথ্য "ইচ্ছাকৃতভাবে ধরে রাখা" সংক্রান্ত ৩১টি মামলাসহ মোট ৩৭টি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত করেন।
অতি কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিচারিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়, আদালতে হাজিরা দেবার সময় আদালত চত্বরের বাইরে শত শত ট্রাম্প ভক্ত জড়ো হয়।
এর আগে, ট্রাম্প তার সমর্থকদের মিয়ামিতে সমাবেশ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এতে করে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে, সমাবেশটি হয়ত সহিংসতায় পরিণত হতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো রকম অঘটন ছাড়াই আদালতের কার্যক্রমের নিষ্পত্তি হয়।
সাবেক প্রেসিডেন্টের গাড়িবহরটি স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছু আগে আদালত চত্বরে প্রবেশ করে। এ সময়, পুলিশ ব্যারিকেডের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা তার সমর্থকরা চিৎকার করে বলতে থাকে, "আমরা ট্রাম্পকে ভালবাসি।"
তারপর ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক জনাথন গুডম্যানের সামনে উপস্থিত হওয়ার আগে তার বিরুদ্ধে আনিত ৩৭টি অভিযোগে তিনি দোষী নন বলে দাবী করেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা।
ট্রাম্পের আইনজীবী টড ব্লাঞ্চ বিচারককে বলেন, "আমরা অবশ্যই দোষী না হওয়ার আবেদন পেশ করছি।"
অভিযোগগুলিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কোনও প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে বড় আইনি বিপদের মুখোমুখি হওয়া বলে বিবেচনা করেছেন বেশ কিছু আইন বিশেষজ্ঞ।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে পরাজয়ের পর, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে অফিস ছাড়ার আগে হোয়াইট হাউজ থেকে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে শত শত অতি গোপনীয় রাষ্ট্রীয় নথি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে ৪৯-পৃষ্ঠার ওই অভিযোগ পত্রে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অপর ছয়টি অভিযোগ, এফবিআই এবং একটি গ্র্যান্ড জুরি নথিগুলো ফেরত দিতে বলার পরও, সেগুলো ধরে রাখার জন্য তার কথিত প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে।