পশ্চিমের সাথে পারমাণবিক চুক্তি করায় 'ভুলের কিছু নেই' বললেন ইরানের খামেনেই

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই তেহরানে ২০২৩ সালের ১১ জুন পারমাণবিক শক্তি সংস্থার বিজ্ঞানী এবং কর্মীদের সাথে কথা বলছেন। (ইরানের সুপ্রিম লিডারের কার্যালয়/পশ্চিম এশিয়া সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের মাধ্যমে)

রবিবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, তেহরানের পারমাণবিক কাজের বিষয়ে পশ্চিমাদের সাথে একটি চুক্তি সম্ভব যদি দেশের পারমাণবিক অবকাঠামো অক্ষত থাকে। তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য অচলাবস্থার মধ্যে তিনি একথা বলেন।

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেইর সতর্ক অনুমোদন তেহরান এবং ওয়াশিংটন উভয়ই একটি অন্তর্বর্তী চুক্তির কাছাকাছি আসার একটি প্রতিবেদন অস্বীকার করার কয়েকদিন পরে আসে। উক্ত চুক্তির অধীনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে তেহরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার কথা।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র খামেনেইর মন্তব্য সম্পর্ক সুনির্দিষ্ট মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র “ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের অনুমতি দেবে না।”

২০১৫ সালের চুক্তি ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যকলাপকে সীমিত করেছিল যার ফলে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিনিময়ে তেহরানের জন্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে ইরানের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে এমন নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করেন। ফলে তেহরান ধীরে ধীরে চুক্তির পারমাণবিক বিধিনিষেধের বাইরে চলে যায় এবং ইরান পারমাণবিক বোমা বানাতে পারে- যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং ইসরাইল-এর এমন আশঙ্কা পুনরুজ্জীবিত করে।

কয়েক বছর ধরে ইরানের সরকারি অবস্থানের প্রতিধ্বনি করে খামেনেই বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র কখনোই পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে চায়নি।

তবে খামেনেই ইরানের কর্তৃপক্ষকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ‘অতিরিক্ত এবং মিথ্যা দাবি’ মেনে না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০২০ সালের ইরানের কট্টরপন্থী সংসদ দ্বারা পাস করা আইনকে সম্মান করতে হবে।