প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি শেষে রবিবার সুদানের রাজধানীতে আবার বোমাবর্ষণ ও গোলাগুলি শুরু হয়েছে। এই অস্ত্রবিরতিতে বেসামরিক জনগণ প্রায় ২ মাস ধরে চলতে থাকা যুদ্ধ থেকে সাময়িক রেহাই পেয়েছিল।
আফ্রিকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দেশটিতে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়েছে। সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ও তার সাবেক সহকারী ও অর্ধসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) অধিনায়ক মোহামেদ হামদান দাগালোর মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে এই সংঘাতের সূত্রপাত হয়।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ২ পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। সর্বশেষ যুদ্ধবিরতিতে রাজধানী খার্তুমে আটকে থাকা বেসামরিক ব্যক্তিরা বের হয়ে এসে খাবার ও অন্যান্য জরুরি উপকরণ মজুত করার সুযোগ পান।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা এএফপিকে জানান, স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ১০ মিনিটের মাথায় রবিবার রাজধানী শহর আবারও কামানের গোলা ও সংঘাতের শব্দে কেঁপে ওঠে।
তারা আরও জানান, খার্তুম ও উত্তরে অবস্থিত এর যমজ শহর ওমদুরমানে ভারি কামানের গুলির শব্দ শোনা গেছে। এছাড়াও রাজধানীর দক্ষিণে অবস্থিত আল-হাওয়া সড়কেও সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে।
ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার শান্তিচুক্তির বিষয়ে ২ পক্ষ একমত হলেও তা বারবার লঙ্ঘন করা হয়েছে। এমন কী, মে মাসের শেষের দিকে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ব্যর্থ হলে যুক্তরাষ্ট্র উভয় জেনারেলের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করে। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।
বুরহান ও দাগালো উভয়ই সুদানের দীর্ঘদিনের একনায়ক ওমর আল-বশিরের শাসনামলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ধন-সম্পদের মালিক হন। ২০১৯ সালে উৎখাত হওয়ার আগে পর্যন্ত বেশ কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধের আওতায় ছিল ওমর আল-বশিরের সরকার।