এক দশক পর, প্রথম জনসভা করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় শনিবার (১০ জুন) এ সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী।
সরকারকে দাবি মেনে নিতে বাধ্য করতে, রাজপথে নামার জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান জামায়াত নেতারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল ও গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ-এ এই সমাবেশের আয়োজন করে জামায়াতের ঢাকা দক্ষিণ মহানগরী শাখা।
২০১৩ সালের পর, এই প্রথম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কিছু শর্তে দলটিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়। জামায়াতের ঢাকা দক্ষিণ শাখার সভাপতি নুরুল ইসলাম বুলবুল সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মুজিবুর রহমানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। মুজিবুর রহমান বলেন, “দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন দেশের জনগণ মেনে নেবে না। সুতরাং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আপনারা সদিচ্ছা দেখিয়ে পদক্ষেপ নিন। এর কোনো বিকল্প নেই।” তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও দলীয় কার্যালয় পুনরায় চালুসহ ১০ দফা দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, “সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলছে। আমরাও চাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। গণতন্ত্র মানেই সুষ্ঠু নির্বাচন...কিন্তু ২০১৪ ও ২০১৮-এর মতো এবারের নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না।এবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।সুতরাং, সমাধান করতে আলোচনায় আসুন।”