ঘূর্ণিঝড় শক্তিশালী হওয়ায় ভারতের উপকূলীয় রাজ্যগুলোতে সতর্কতা

আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় সৃষ্টির হলে, উপকূল অঞ্চলে কাজকর্ম বন্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর, পাকিস্তানের করাচি মৎসবন্দরে ঘাটে বাঁধা মাছধরা নৌকা; ১০ জুন ২০২।

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্য গুজরাত, মহারাষ্ট্র, গোয়া ও অন্যান্য উপকূলীয় অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তীব্রতর হবে বলে আবহাওয়াবিদরা হুঁশিয়ারি দিলে এই সতর্কতা জারি করা হয়।

ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়-এর আগে, আগামী পাঁচদিন পূর্ব ও মধ্য আরব সাগর এবং সেই সঙ্গে ভারতের সৌরাষ্ট্র ও কচ অঞ্চলে কাজ-কর্ম বন্ধ রাখতে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।

ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি) ঘুর্ণিঝড় বিপর্যয়-কে “অতিশক্তিশালী ঝড়” হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারা শনিবার বলেছে, ঘুর্ণিঝড়টি দেশের অর্থনৈতিক রাজধানী মুম্বই থেকে প্রায় ৬২০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিলো।

শনিবার এক বিবৃতিতে আইএমডি বলেছে,”আগামী ২৪ ঘন্টায় এই ঝড়ের আরো ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং এটি ধীরে ধীরে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যেতে পারে।”

আবহাওয়া দপ্তর সতর্ক করেছে যে আগামী তিন দিন উপকূলীয় কেরালা ও কর্ণাটক রাজ্যের কিছু বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।

আইএমডি ধারণা করছিলো ৪ জুন দক্ষিণের রাজ্য কেরালায় বর্ষাকাল শুরু হবে। তবে, ঘুর্ণিঝড় বিপর্যয় ঘণিভূত হওয়ায় বর্ষাকালের সূচনা বিলম্বিত করেছে।

গুজরাতে, দক্ষিণ গুজরাত, সৌরাষ্ট্র উপদ্বীপ এবং কচের ১৩টি উপকূলীয় জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

এই রাজ্যের রাজস্ব দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব কমল দায়ানি রয়টার্স-কে বলেছেন,”যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে আমরা পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত।”

এই ঝড়ে বিপর্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন জেলাগুলোতে জাতীয় ও রাজ্যস্তরের বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী (ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স) মোতায়েন করা হয়েছে।