যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল ও  কানাডায় নতুন ভাবে দাবানলের হুমকি

8 জুন, ওয়াশিংটন মনুমেন্ট ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন

এই সপ্তাহে নিউইয়র্কের স্কাইলাইন এবং ওয়াশিংটন মনুমেন্টে ঘিরে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন করা ছবি দেখে বিশ্বকে দাবানলের বিপদ সম্পর্কে নতুন একটি চিত্র স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যেখানে বহুদূরের লাগা দাবানল নিয়মিত ভাবেই আকাশে বিপজ্জনক ধোঁয়াশায় পরিণত হচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, কানাডার দাবানলের কারণে তৃতীয় দিনের অস্বাস্থ্যকর বাতাস যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা হতে পারে তবে এ রকম পরিস্থিতে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে (উপকুলে) নিয়মিতভাবে যে বিপর্যস্ত করে সে কথা স্মরণ করিয়ে দেয় - এবং ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি সতর্ক বার্তা ।

ডার্টমাউথ কলেজের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক ও জলবায়ুবিজ্ঞানী জাস্টিন মানকিন বলেন, “এটি এক ধরনের বিস্ময়কর ঘটনা” তবে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাঝে এটি আরও সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে।এটি এমন একটি বিষয় যা দেশের পূর্বাঞ্চলের মানুষ হিসেবে আমাদের বেশ গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করা প্রয়োজন ।”

বৃহস্পতিবার লক্ষ লক্ষ বাসিন্দা নিজেরাই তা প্রত্যক্ষ করেছেন । এই অবস্থার কারণে হাঁপানি রোগীদের হাসপাতালে পাঠানো হয়,ফ্লাইট বিলম্বিত হয়, বলগেমস স্থগিত করা হয় এবং এমনকি হোয়াইট হাউজের প্রাইড মাস উদযাপনের অনুষ্ঠানও পিছিয়ে দেওয়া হয়। দাবানলের ফলে নর্থ ক্যারোলিনা এবং ইউরোপেরউত্তরাঞ্চলে অনেক দূর পর্যন্ত পদার্থের সূক্ষ্মকণা কুণ্ডলী আকারেছড়িয়ে পড়ে এবং ঘনবসতিপূর্ণ পূর্ব সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় অস্বাস্থ্যকর বা আরও খারাপ বায়ু ছড়িয়ে পড়েছে।

চলতি সপ্তাহে দেশটির সবচেয়ে জনবহুল শহর নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন স্থানে বায়ুর গুণগত মান যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার বায়ু-দূষণ স্কেলের প্রায় শীর্ষে পৌঁছেছে। স্থানীয় কর্মকর্তারাজনগণকে যতটা সম্ভব ঘরে থাকার এবং বাইরে বের হওয়ার সময়মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে এই ধরনের পরিস্থিতি নতুন কিছু নয়– প্রকৃতপক্ষে এই ধরণের অবস্থা ঘন ঘন হচ্ছে। সেখানকার বাসিন্দারা করোনাভাইরাস মহামারীর আগেও মাস্ক পড়েছেন এবং এয়ার ফিল্টার কিনেছিলেন এবং গ্রীষ্মকালে প্রতিদিন বাতাসের গুণমান পরীক্ষা করতে অভ্যস্ত ছিলেন। ২০১৭ সাল থেকেক্যালিফোর্নিয়ায় ১০টি দাবানলের মধ্যে বিশাল আকারের ছিল আটটি এবং ছয়টি সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক দাবানল ছিল।

বাতাসের মান বিপজ্জনক হওয়ায় কখনও কখনও শিশু, বয়স্ক লোকজন এবং হাঁপানি এবং অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের একসাথে কয়েক সপ্তাহ ধরে ঘরের ভিতরে থাকতে বাধ্য করে। কর্মকর্তারা গৃহহীন বা যাদের বাড়ির ভিতরে পরিচ্ছন্ন বাতাস নেই তাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছেন।