বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ; মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের দাবি

২০১৭ সালে সামরিক দমন অভিযান থেকে বাঁচতে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশের কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে জড়ো হচ্ছে। ২৫ আগস্ট, ২০২২। ফাইল ছবি।

বৃহস্পতিবার মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের দাবিতে বাংলাদেশে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বিক্ষোভ করেছে। তাদের বিক্ষোভের উদ্দেশ্য, তারা যাতে ২০১৭ সালে তাদের মাতৃভূমিতে নৃশংস সামরিক দমনপীড়ন থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে তারা যে নোংরা ও অবহেলিত শিবিরে বসবাস করছে সেই স্থান ছেড়ে যেতে পারে।

বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী বসতি দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের শিবিরে দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে ঠাসাঠাসি করে রাখা হয়েছে। প্রায় ছয় বছর আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হামলা থেকে বেশিরভাগ মানুষ পালিয়ে গিয়েছিল। তবে কেউ কেউ সেখানে দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করছেন।

ক্রমবর্ধমান অপরাধ, কঠোর জীবনযাপন এবং মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা আরও বেশি রোহিঙ্গা শরনার্থীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে নৌকায় করে বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সমুদ্রে ৩৪৮ জন রোহিঙ্গা মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সামান্যই প্রবণতা দেখিয়েছিল। রোহিঙ্গারা বছরের পর বছর ধরে মিয়ানমারে বিদেশী অনুপ্রবেশকারী হিসেবে বিবেচিত এবং মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী তাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করেছে এবং তাদের নির্যাতনের শিকার করেছে।

২০১৮ সাল এবং ২০১৯ সালে প্রত্যাবাসন শুরু করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল কারণ শরণার্থীরা বিচারের ভয়ে ফিরে যেতে অস্বীকার করেছিল।

২০ জন রোহিঙ্গা মুসলমানের একটি দল রয়টার্সকে বলেছে, তারা স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে একটি পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে তাদের মাতৃভূমি পরিদর্শন করার পরে “শিবিরে বন্দী” থাকার জন্য মিয়ানমারে ফিরে যাবে না।

ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশ বলছে, মিয়ানমারে শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনই সংকটের একমাত্র সমাধান।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সম্প্রতি মাসিক খাদ্য বরাদ্দ ১০ ডলার থেকে কমিয়ে জনপ্রতি ৮ ডলার করেছে।