জয়নাব যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের রাজধানী থেকে নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে যাচ্ছিল। তখন একজন আধাসামরিক যোদ্ধা তাকে মাটিতে চেপে ধরে, তার বুকের উপরে রাইফেল চেপে ধরে ধর্ষণ করে।
এপ্রিলের মাঝামাঝি সেনাবাহিনী এবং আধা সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কয়েক ডজন নারী একই ধরনের হামলার কথা জানিয়েছেন- এই হামলা হয়েছে তাদের বাড়িতে, রাস্তার ধারে এবং হোটেলগুলোতে।
সুদানের যুদ্ধে অন্তত ১ হাজার ৮শ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং ১৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সংঘাতের ভয়াবহতা প্রচুর যৌন সহিংসতার কারণে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাণে বেঁচে যাওয়া মানুষ, চিকিৎসক এবং কর্মীরা যারা এএফপির সাথে কথা বলেছেন, তারা একথা জানান।
সুদানের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল-ফাত্তাহ বুরহান এবং জেনারেল মোহাম্মদ দাগালোর নেতৃত্ব আরএসএফ- উভয়েই তাদের শত্রুদেরকে এ ধরনের হামলার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
মানবাধিকার আইনজীবী জেহান হেনরি বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে উভয় পক্ষই অতীতে “যৌন সহিংসতার কুখ্যাত কাজ” করেছে।
সরকারি কমব্যাটিং ভায়োলেন্স এগেইন্সট উইমেন এন্ড চিলড্রেন ইউনিট যুদ্ধের প্রথম দুই সপ্তাহে ৪৯টি হামলা নথিভুক্ত করেছে।
সবচেয়ে খারাপ লড়াই চলছে খার্তুম এবং দারফুর অঞ্চলে। সেখানে প্রাক্তন স্বৈরশাসক ওমর আল-বশির একবার কুখ্যাত জানজাওয়েদ মিলিশিয়াকে মুক্ত করেছিলেন। সেখান থেকে আরএসএফের উদ্ভব।
চিকিৎসকরা বলছেন, হাসপাতালগুলো ভাংচুর বা ধ্বংস করা হয়েছে বলে অনেক ভুক্তভোগী কোনো সেবা পান না।
মারাত্মক অভাবের মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীরা এইচআইভি ওষুধ বা জরুরি গর্ভনিরোধক সরবরাহ করতে হিমশিম খেয়েছে।
কর্মী এবং চিকিৎসকেরা প্রতিটি হামলা নথিভুক্ত করার চেষ্টা করছেন। আইনজীবী বলেন, এর লক্ষ্য হলো “কোনো দায়মুক্তি নেই তা নিশ্চিত করা।”