নরম্যান্ডিতে ডি-ডে'র ৭৯তম বার্ষিকীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন

নরম্যান্ডির কোলভিল-সুর-মের আমেরিকানদের কবরস্থানে একটি আমেরিকান ( বামে) এবং ফরাসি পতাকা রাখা আছে। ( ৫ জুন, ২০২৩)

ইতিহাসের বৃহত্তম নৌ, বিমান ও স্থল অভিযানে যারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন তাদের সম্মানে মঙ্গলবারের ডি-ডে অনুষ্ঠান হয়। গোলাগুলির অপ্রতিরোধ্য শব্দ এবং মানুষের চিৎকার, এভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়া মেরি স্কট দিনটিকে বর্ণনা করেন।

নরম্যান্ডিতে নিহত সৈন্যদের প্রতি এই বছরের শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রবীণ, কর্মকর্তা এবং দর্শনার্থীদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে ইউক্রেন আজ কিসের মুখোমুখি হচ্ছে।

মঙ্গলবার, সেই দিনের অংশগ্রণকারীরা , যারা আক্রমণের ৭৯ তম বার্ষিকী উপলক্ষে ভোরে ওমাহা সৈকতে আসে। ফ্রান্স এবং পশ্চিম ইউরোপকে নাৎসি নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করা হয় সেই ঐতিহাসিক দিনটিতে। কেউ কেউ একগুচ্ছ ফুল নিয়ে আসেন, অন্যরা আমেরিকার পতাকা উত্তোলন করেন।

স্কট তার ১৭ বছর বয়সে ব্রিটেনের পোর্টসমাউথে কমিউনিকেশন অপারেটর হিসেবে নিযুক্ত হন। তার কাজ ছিল সেনাবাহিনী এবং জেনারেল ডোয়াইট ডি আইজেনহাওয়ার এবং অপারেশনের তদারকিতে থাকা সিনিয়র কর্মকর্তাদের মধ্যে বার্তা প্রেরণ করা।

তিনি বলেন, “আমি যুদ্ধে ছিলাম। গোলাগুলি, মেশিনগান, বোমা বর্ষণ, পুরুষদের চিৎকার, আদেশ দেওয়ার শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। কয়েক মুহুর্তের আতঙ্কের পরে, আমি বুঝতে পেরেছিলাম কি ঘটছে ... এবং আমি ভেবে নিয়েছি, আতঙ্কের জন্য কোনও অবকাশ নেই। কোন একটা কাজ করতে হবে। সেটাই আমি করেছি।“

গোল্ড বিচে ডি-ডে-তে অবতরণকারী ব্রিটিশ সেনা মার্ভিন কের্শ বলেন, পশ্চিমা মিত্রদের উচিত ইউক্রেনে সর্বোচ্চ সামরিক সহায়তা পাঠানো: "মুক্ত থাকার একমাত্র উপায় হ'ল শক্তিশালী হওয়া।“

৯৮ বছর বয়সী কের্শ বলেন, “আমি এখনও রিজার্ভে আছি, আমি এখন ইউক্রেনে যাওয়ার অপেক্ষায় আছি। এটাই পরবর্তী কাজ।“

মঙ্গলবার, ওমাহা সৈকতের পাশে কোলভিল-সুর-মেরে আমেরিকান কবরস্থানে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে ৯,৩৮৬ জন আমেরিকান সৈন্যের কবর রয়েছে। যাদের বেশিরভাগই ডি-ডে অবতরণ এবং পরবর্তী অপারেশনগুলিতে প্রাণ হারিয়েছে। নিখোঁজদের দেয়ালে ১,৫৫৭টি নাম লেখা আছে। যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উদ্ধার ও সনাক্ত করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেনাদের সঙ্গে এই স্মরণসভায় অংশ নেন।