ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডের বিরুদ্ধে মামলার শুনানিতে প্রিন্স হ্যারি সাক্ষ্য দিয়েছেন

প্রিন্স হ্যারি লন্ডনের হাইকোর্টে পৌঁছেছেন। ৬ জুন, ২০২২।

মঙ্গলবার প্রিন্স হ্যারি আদালতে সাক্ষী দেন, একটি ট্যাবলয়েডের প্রকাশকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়ার সময় সত্য বলার শপথ নিয়ে তিনি ফোন হ্যাকিং এবং অন্যান্য বেআইনি স্নুপিং-এর অভিযোগ করেন।

গাঢ় স্যুট এবং টাই পরিহিত হ্যারি সাক্ষী বক্সে মিরর গ্রুপের অ্যাটর্নি অ্যান্ড্রু গ্রিনকে বলেছিলেন, “আমি জন্মের পর থেকে গণমাধ্যমের শত্রুতা অনুভব করেছি।” তিনি ট্যাবলয়েডগুলোকে “আমার বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ধ্বংসাত্মক ভূমিকা” পালন করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।

প্রতিপক্ষের আইনজীবী গ্রিন সোমবার বলেন, “ডিউক অফ সাসেক্সের কোনোকিছু হ্যাক করা হয়েছে- এমন কোনো প্রমাণ নেই, বারবার হ্যাক করা তো দূরের কথা।”

যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্রের প্রতি হ্যারির ক্ষোভ, কখনো কখনো তার নিজের আত্মীয়দের যাদের নানান কাজকর্মকে তিনি গণমাধ্যমের সাথে তাদের যোগসাজশ হিসেবে দেখেন, তাদের প্রতি ক্ষোভ তিনি তার স্মৃতিকথা “স্পেয়ার”-এ উল্লেখ করেছেন এবং অপরা উইনফ্রে এবং অন্যদের সাথে দেয়া সাক্ষাৎকারেও তিনি এসব বিষয় উল্লেখ করেছেন।

হ্যারি তার মা প্রিন্সেস ডায়ানা যে গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন সেই দুর্ঘটনার জন্য পাপারাজ্জিকে দায়ী করেছেন এবং বলেছেন, কথিত বর্ণবাদী নিবন্ধসহ যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম দ্বারা হয়রানি এবং অনুপ্রবেশের কারণে তাকে এবং তার স্ত্রী মেগানকে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যেতে এবং রাজকীয় পদবি ত্যাগ করতে বাধ্য করে।

যদিও হ্যারির স্মৃতিকথা এবং গণমাধ্যমের অন্যান্য সাম্প্রতিক অনুষ্ঠানগুলো তার জীবনের আখ্যান পুনরুদ্ধার করার একটি প্রচেষ্টা ছিল, কিন্তু প্রতিটি শব্দ টুকে নেয়া সাংবাদিকে পরিপূর্ণ আদালতে জেরার সময় তার এমন কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।