চীন ৮৯ সালের গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের বর্ষপূর্তিতে তিয়ানআনমেন স্কয়ারে প্রবেশাধিকার কঠোর করেছে

চীনের গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী দমনপীড়নের ৩৪তম বার্ষিকীতে বেইজিংয়ের তিয়ানআনমেন স্কয়ারের কাছে রাস্তার পাশে একটি চেকপয়েন্টে, সনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য লোকজনকে থামানোর নির্দেশ দেয় পুলিশ। (৪ জুন, ২০২৩)

১৯৮৯ সালের গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের বর্ষপূর্তিতে রবিবার বেইজিংয়ের মধ্যাঞ্চলীয় তিয়ানআনমেন স্কয়ারে প্রবেশাধিকার কঠোর করেছে চীন।

এক সময়ের চীন-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল হংকংয়ে, স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। দমনপীড়নের ৩৪ তম বার্ষিকীর প্রাক্বালে অ্যাক্টিভিস্ট এবং শিল্পীসহ আটজনকে আটক করা হয়। এই পদক্ষেপটি শহরটির মত প্রকাশের স্বাধীনতার সংকুচিত অবস্থানকেই তুলে ধরে।

শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, জনসমাগমস্থলে শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করা বা রাষ্ট্রদ্রোহের উদ্দেশ্যে কাজ করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জনসাধারণের শান্তি ভঙ্গের সন্দেহে আরও চারজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ শনিবার মন্তব্য চেয়ে একটি ইমেলের তাৎক্ষণিক কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

১৯৮৯ সালের ৩ জুন রাতে এবং ৪ জুন সকালে মধ্য বেইজিংয়ে সেনাবাহিনীর ট্যাংক ও পদাতিক বাহিনীর অবতরণের সময় নিহত শত শত বা হাজার হাজার লোকের স্মরণে বার্ষিক মোমবাতি প্রজ্জ্বলন সমাবেশের জন্য বিশাল জনসাধারণের স্থানটি নির্ধারিত ছিল।

২০২০ সালের জুনে একটি ব্যাপক জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারির পর থেকে চীনে এই ঘটনাগুলির আলোচনা দীর্ঘকাল ধরে দমন করা হয়েছে। হংকংয়েও ক্রমবর্ধমান ভাবে সীমাবদ্ধ হয়ে উঠে। এখানেও কার্যকরভাবে কাউকে স্মরণীয় অনুষ্ঠান করতে নিষেধ করা হয়েছে।

১৯৮৯ সালের সহিংসতায় নিহতের সঠিক সংখ্যা এখনো অজানা রয়ে গেছে। কমিউনিস্ট পার্টি দেশে বা বিদেশে যারা ঘটনার স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে চায় তাদের নিরলসভাবে হয়রানি করে চলেছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ চীন সরকারকে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের হত্যার দায় স্বীকার করার আহ্বান জানিয়েছে।