ব্রিটিশ সন্ত্রাসবিরোধী কর্তৃপক্ষকে মায়ের দেয়া খবরের ভিত্তিতে, এক কিশোরকে শুক্রবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ১৯ বছর বয়সী ম্যাথু কিং-কে পুলিশ কর্মকর্তা ও সেনা সদস্যদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্র করার জন্য সর্বনিম্ন ছয় বছর জেলে থাকতে হবে।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলস-এ এটাই হলো সন্ত্রাসের অভিযোগে প্রথম দণ্ডের ঘটনা, যা টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে।বিচারক কিংয়ের মায়ের প্রশংসা করেছেন সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা কর্মসূচির কাছে তার নিজের সন্দেহ প্রকাশ করার জন্য।
মধ্য লন্ডনের কেন্দ্রীয় ফৌজদারি আদালতে এই কিশোরকে শাস্তি দেয়ার সময় বিচারপতি মার্ক লুক্রাফ্ট বলেন, "সন্তানের প্রতি উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও তিনি সন্ত্রাস প্রতিরোধ বিভাগকে সতর্ক করে এক দুঃসাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রথমত এটা সহজ কাজ ছিলো না; এবং আমার মতে একেবারেই ঠিক কাজটি করেছেন তিনি।"
২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর ও ২০২২ সালের ১৭ মে-র মধ্যে সন্ত্রাসী হামলার প্রস্তুতির জন্য জানুয়ারি মাসে কিং- নিজের দোষ স্বীকার করে।
করোনাভাইরাসজনিত অতিমারির সময় অনলাইনে উগ্রবাদের পাঠ নেয় কিং। কিং সামরিক বাহিনীর ব্যক্তিদের হত্যার ইচ্ছা প্রকাশ করে এবং পূর্ব লন্ডনে একটি সেনা ব্যারাকের দিকে নজরদারির প্রস্ততি নেয় । এমনকি, সে সিরিয়ায় গিয়ে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটে যোগ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে।
তার মা যখন কিং-এর বিষয়ে সবকিছু কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন, তখন তার অভিপ্রায়ে বাধা পড়ে। ২০২২ সালের এপ্রিলে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ভিডিও পোস্ট করার পর কর্তৃপক্ষ তার দিকে সন্ত্রাসবিরোধী হটলাইনের মাধ্যমে নজর রাখা শুরু করে।
কিং-এর আইনজীবী দাবি করেন যে, তার মক্কেল উগ্রবাদের পথ থেকে সরে আসছিল। কিন্তু, বিচারপতি মনে করেন, কিং একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী। সে আগামীতে মানুষের ক্ষতি করতে পারে; সেই ঝুঁকি তাকে নিয়ে রয়েছে।
পাঁচ বছরের মধ্যে কিং জেল থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। ইতোমধ্যেই সে ৩৬৭ দিন কারাগারে কাটিয়েছে। এই সময়কেও হিসাবের মধ্যে রাখা হবে এবং তার সাজার মেয়াদ থেকে এই সময়টা বাদ দেয়া হবে।