স্পেনের বার্সেলোনার উত্তরে সাউ জলাধারে পানির স্তর নেমে যাওয়ার পরে ফাটলযুক্ত মাটিতে একটি গাছের ছবি তোলা হয়েছে। ১৮ এপ্রিল, ২০২৩। ফাইল ছবি।
নতুন একটি সমীক্ষা অনুসারে, পৃথিবী আটটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সুরক্ষা সীমা মধ্যে সাতটি ভঙ্গ করেছে এবং “বিপজ্জনক অঞ্চলে” প্রবেশ করেছে। এই বিপদ শুধুমাত্র একটি অতিরিক্ত উত্তপ্ত গ্রহ যা তার প্রাকৃতিক অঞ্চলগুলো হারাচ্ছে সেটির জন্য নয়,এখানে বসবাসকারী মানুষের কল্যাণের জন্যও এটি ঝুঁকিপূর্ণ।
বুধবার নেচার জার্নালে প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিস্ট গ্রুপ আর্থ কমিশনের গবেষণায় জলবায়ু, বায়ুদূষণ, ফসফরাস ও নাইট্রোজেন দূষণের ফলে সারের অত্যধিক ব্যবহার, ভূগর্ভস্থ পানির সরবরাহ, ভূপৃষ্ঠের তাজা পানি, অনির্মিত প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সামগ্রিক প্রাকৃতিক ও মানব-নির্মিত পরিবেশের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। শুধুমাত্র বায়ুদূষণ বিশ্বব্যাপী বিপজ্জনক পর্যায়ে ছিল না।
সমীক্ষায় পূর্ব ইউরোপ, দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকার কিছু অংশ এবং ব্রাজিল, মেক্সিকো, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমের কিছু অংশ জুড়ে সমস্যাগ্রস্ত অঞ্চলের “হট স্পট” পাওয়া গেছে- এর বেশিরভাগই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পৃথিবীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ অঞ্চল মিঠা পানির মানদণ্ড পূরণ করে না।
প্রতিবেদনে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস (২ দশমিক ৭ ডিগ্রী ফারেনহাইট) উষ্ণায়নের সীমারেখা ব্যবহার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নেতারা ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে প্রাক-শিল্পকালের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির ব্যাপারে সম্মত হয়েছিলেন। রকস্ট্রম এবং গুপ্তা বলেছেন, পৃথিবী এখন পর্যন্ত প্রায় ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২ ডিগ্রী ফারেনহাইট) উষ্ণ হয়েছে, তাই এটি উল্লিখিত নিরাপত্তা সীমা অতিক্রম করেনি, কিন্তু তার মানে এই নয় যে,মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না।
বাইরের অন্য একজন বিশেষজ্ঞ জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ স্কুলের পরিবেশগত স্বাস্থ্যের অধ্যাপক এবং ডীন ডঃ লিন গোল্ডম্যান বলেন, গবেষণাটি “সাহসী ধরনের”। কিন্তু তিনি আশাবাদী নন যে, এর ফলে খুব বেশি কিছু পদক্ষেপ নেয়া হবে। ১