জনসাধারণের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ কমাতে ও মিতব্যয়ীতার অভ্যাস গড়ে তুলতে এবং অর্থনীতিতে নতুন রাজস্ব ধারা তৈরি করতে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের বাজেটে ভ্রমণ করের হার বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করার সময় তিনি বলেন, “এই নীতি একদিকে আমাদের আরও রাজস্ব দেবে এবং অন্যদিকে অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ কমিয়ে ডলার সাশ্রয় করবে”।
প্রস্তাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিমানে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য যাত্রীদের ২০০ টাকা ভ্রমণ কর দিতে হবে। সার্কভুক্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ কর ৬৭ শতাংশ বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যাওয়ার ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার টাকা এবং অন্য দেশে ৫০ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার টাকা ভ্রমণ কর দিতে হবে।
আর স্থল ও সমুদ্রপথে বিদেশ যেতে ১ হাজার টাকা ভ্রমণ কর দিতে হবে। এতদিন এই করের হার ছিল ৫০০ টাকা।
বিমান পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও আধুনিকীকরণ এবং পর্যটন শিল্পের বিকাশে সহায়তা করার প্রয়াসে সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জন্য ৬ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৯৬৯ কোটি টাকা বেশি। যা গত অর্থবছরে ছিল ৫ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা।
এ ছাড়া, এক দশক ধরে চলমান রেয়াতি হারে হোটেল সামগ্রী আমদানির বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারেরও প্রস্তাব করেন তিনি।
মুস্তফা কামাল বলেন, “যেহেতু অনেক বড় মাপের এবং উচ্চমানের হোটেল ইতিমধ্যে এই সুবিধার অধীনে নির্মিত হয়েছে, তাই শুল্ক কর অব্যাহতি অব্যাহত রাখা অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হচ্ছে। তাই রাজস্ব সুরক্ষার স্বার্থে আমি বিদ্যমান বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের প্রস্তাব করছি”।