পাকিস্তান বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইরান সীমান্তে একটি নিরাপত্তা চৌকিতে “একদল সন্ত্রাসীর” হামলায় তাদের দু’জন সেনা প্রাণ হারিয়েছে।
সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, বালুচিস্তান প্রদেশের সীমান্তবর্তী জেলা কেচ-এ বিদ্রোহীরা ঐ অভিযান চালায়। পাকিস্তানি সৈন্যরা তাৎক্ষণিকভাবে “হাতের কাছে প্রাপ্ত সমস্ত অস্ত্র দিয়ে” এর জবাবদেয়। তারা আরও জানিয়েছে যে পরবর্তীতে ভারী বন্দুকযুদ্ধ হয় ও হামলাকারীদের তারা পিছু হটিয়ে দেয়।
ঐ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নিরাপত্তা বাহিনী ঐ এলাকায় তাৎক্ষণিকভাবে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে এবং সন্ত্রাসীদের পালানোর কোনো সুযোগ না দিতে ইরানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ ঐ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
ইসলামাবাদে অবস্থিত ইরানি দূতাবাস টুইটারে এক পোস্টে বলেছে, তারা “ঐ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে” এবং নিহত সৈন্যদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে । কূটনৈতিক মিশনসন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় “পারস্পরিক সহযোগিতার” প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেছে, এটি “উভয়ের জন্য বেদনাদায়ক।”
গত সপ্তাহে তেহরান জানায় যে, পাকিস্তান সীমান্তে একটি “সন্ত্রাসী” হামলায় ইরানি নিরাপত্তা বাহিনীর ছয় জন সদস্য নিহত হয়েছে এবং হামলাকারীরা ইরানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল তবে হতাহতের ঘটনার পর তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
ইসলামাবাদ ঐ হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং সীমান্তের উভয় পাশে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার জন্য পারস্পরিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছে।
আন্তঃসীমান্ত হামলা চালানো থেকে বিরত রাখতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য এবং জঙ্গিরা যে আশ্রয় নিচ্ছে তার জন্য উভয় দেশই নিয়মিতভাবে একে অপরকে দোষারোপ করে থাকে।