ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা পশ্চিম তীরে ফেলে যাওয়া ফাঁড়িতে ধর্মীয় বিদ্যালয় নির্মাণ করেছে

ইসরাইল, গাজা ভূখণ্ড এবং পশ্চিম তীরের মানচিত্র।

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা সোমবার বলেছে, ইসরাইল সরকার ভূখণ্ডের উত্তর অংশে বেশ কয়েকটি উচ্ছেদকৃত এলাকায় বসতি স্থাপনের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরে তারা একটি ভেঙে ফেলা ফাঁড়িতে ধর্মীয় বিদ্যালয় নির্মাণ করেছে।

এছাড়াও সহিংসতার তরঙ্গে সর্বসাম্প্রতিক রক্তপাতে সোমবার পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে একজন ফিলিস্তিনি মারা গেছে বলে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিদ্যালয়টি রবিবার হোমশে নির্মিত হয়েছিল। এটি ২০০৫ সালে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলের প্রত্যহারের অংশ হিসেবে পশ্চিম তীরের চারটি আউটপোস্টের মধ্যে একটি। মার্চ মাসে ইসরাইলের অতি ডানপন্থী সরকার ২০০৫ সালের একটি আইন বাতিল করে। এই আইনের অধীনে চারটি ফাঁড়ি খালি করা হয় এবং ইসরাইলিদের এলাকায় পুনরায় প্রবেশে বাধা দেয়া হয়।

বসতি বিরোধী দলগুলো বলছে, এইসব এলাকায় আরও বসতি নির্মাণ একটি সংলগ্ন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আশাকে আরও ম্লান করে দেয়। ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বসতি স্থাপনকে ইসরাইল সরকার তাদের শীর্ষ অগ্রাধিকারের একটিতে পরিণত করেছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন জোটটি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ সহ অতি-জাতীয়তাবাদী সেটলার সমর্থকদের নিয়ে গঠিত। এই জোটের পশ্চিম তীরের বসতিগুলোর ওপর কিছু কর্তৃত্বও রয়েছে। ইসরাইলি আর্মি রেডিও জানিয়েছে, হোমশ ধর্মীয় ফাঁড়িটি স্মোট্রিচ এবং ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের অনুমোদন নিয়ে নির্মিত হয়েছিল।

১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরাইল পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা এবং পূর্ব জেরুজালেম দখল করে। ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাশিত রাষ্ট্রের জন্য ওই এলাকাগুলো প্রয়োজন।