আফগানিস্তানের সাথে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের সীমান্তে শনিবার তালিবান এবং ইরান ভারী গুলি বিনিময় করেছে। আর এর ফলে পানির অধিকার নিয়ে বিরোধে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাকে তীব্রভাবে বাড়িয়ে তুলেছে।
ইরানের রাষ্ট্র-চালিত আইআরএনএ সংবাদ সংস্থা দেশটির ডেপুটি পুলিশ প্রধান জেনারেল কাসেম রেজাইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে অভিযোগ করেছে যে তালিবান ইরানের সিস্তান ও বেলুচেস্তান প্রদেশ এবং আফগানিস্তানের নিমরোজ প্রদেশের সীমান্তে শনিবার সকালে প্রথম গুলি চালায়। আইআরএনএ বলেছে, ইরান "প্রচুর ও গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি " করেছে।
আফগানিস্তানের তালিবান-নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া এই লড়াইয়ের কথা স্বীকার করেনি।
অ্যাডভোকেসি গ্রুপ হালভাশ, যেটি সিস্তান ও বেলুচেস্তানের প্রধান সুন্নি প্রদেশের বেলুচ জনগণকে প্রভাবিত করে এমন সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন করে, তারা এলাকার বাসিন্দাদের উদ্ধৃত করে বলেছে যে লড়াইটি নিমরোজের কাং জেলার কাছে হয়েছিল। এতে বলা হয়, এলাকার কিছু মানুষ সহিংসতা থেকে পালিয়ে গেছে।
অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওগুলি, দূর থেকে মেশিনগানের গুলির শব্দ অন্তর্ভুক্ত করেছে ৷ হালভাশ পরে একটি মর্টার রাউন্ডের অবশিষ্টাংশের চিত্র পোস্ট করে বলেছে যে "ভারী অস্ত্র এবং মর্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।" হালভাশের পরের একটি ভিডিওতে ইরানী বাহিনীকে মর্টারের গুলি ছুড়তে দেখা যায়।
আইআরএনএ ইরানের পুলিশ প্রধান জেনারেল আহমেদরেজা রাদানকে উদ্ধৃত করে বলেছে, "ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সীমান্ত বাহিনী যেকোন সীমানা অনুপ্রবেশ এবং আগ্রাসনের জন্য চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং আফগানিস্তানের বর্তমান কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই তাদের পরিমাপহীন এবং আন্তর্জাতিক নীতির পরিপন্থী পদক্ষেপের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।”
এই মাসের শুরুর দিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলমান্দ নদীতে ইরানের পানির অধিকার লঙ্ঘন না করার জন্য তালিবানকে সতর্ক করার প্রতিক্রিয়ায় এই সংঘর্ষ হয়। ইরানের পানি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান উদ্বেগের মধ্যে রাইসির বক্তব্য সবচেয়ে শক্তিশালী মন্তব্যের প্রতিনিধিত্ব করে।