সুদানের সেনাবাহিনী এবং শক্তিশালী একটি আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যকার বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জারি থাকে। এই সংঘর্ষ রাজধানী খার্তুমের আপেক্ষিক শান্ত অবস্থায় ব্যাঘাত ঘটায় এবং এক সপ্তাহব্যাপী আন্তর্জাতিকভাবে মধ্যস্থতা করা যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি যুদ্ধরত পক্ষগুলো যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করছে। খার্তুমে পাঁচ সপ্তাহের যুদ্ধ এবং দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলসহ সুদানের অন্যান্য অংশে সহিংসতার পরে এই যুদ্ধবিরতি হয়।
যুদ্ধ সুদানের সেনাবাহিনীকে আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে এবং একটি মানবিক সংকটের আরও অবনতি ঘটিয়েছে। যুদ্ধের ফলে ১৩ লাখের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে এবং বিস্তৃত অঞ্চল অস্থিতিশীল হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী বিমান শক্তির ওপর নির্ভর করে। অন্যদিকে প্রাক্তন মিলিশিয়া নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে আরএসএফ খার্তুমের রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং যুদ্ধ করছে। মোহাম্মদ হামদান দাগালো হেমেদতি নামেও পরিচিত।
উভয় পক্ষই সংঘাতে কিছু অর্জন করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। এই সংঘাত একটি বৃহদাকারের মানবিক সংকট তৈরি এবং আঞ্চলিক দেশগুলোকে অস্থিতিশীল করার হুমকি দেয়।
সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় জেদ্দায় আলোচনার পর উভয় পক্ষই শনিবার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতির ঘোষণা যুদ্ধ থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। বুধবারের বিবৃতিতে সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে।