যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ভিসা কড়াকড়ির প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে

ঢাকায় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনের সময় একজন নারী তার ভোট দিচ্ছেন। ফাইল ছবি।

বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশে তার নির্বাচনে বেআইনি অনুশীলন বা হস্তক্ষেপ মোকাবিলা ও প্রতিরোধের পদক্ষেপ নেবে। বাংলাদেশের যেসব নাগরিক নির্বাচনে অন্তরায় সৃষ্টি করে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেয়ার একদিন পরে এ কথা জানানো হয়।

২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভোট চুরির অভিযোগ এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তু করার পর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, যারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করে, তাদের জন্য ভিসা সীমিত করতে যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি নীতি গ্রহণ করছে।

মন্ত্রণালয় বলেছে, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনতা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং দক্ষতার সাথে তার কার্য সম্পাদন করার ক্ষমতা ধরে রেখেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক বদিউল আলম মজুমদার যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিকে শেখ হাসিনা শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ, ভিন্নমত দমন এবং সমালোচকদের জেলে দেবার অভিযোগ রয়েছে। জেলবন্দী সমালোচকদের মধ্যে প্রধান বিরোধী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) অনেক সমর্থক রয়েছে।

বিএনপি শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার জন্য এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী নির্বাচন একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে। সরকার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ওয়াশিংটন অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদকে লক্ষ্য করে একটি এলিট পুলিশ ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। ইউনিটটি বিচার বহির্ভূত হত্যা এবং জোরপূর্বক গুমের অভিযোগে অভিযুক্ত।