অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে ইন্দোনেশিয়া সফরে ইরানের নেতা

ইন্দোনেশিয়ার বোগোরে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বৈঠক করেন (২৩ মে, ২০২৩)

বাড়তে থাকা বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে দুই মুসলমান সংখাগরিষ্ঠ দেশ ইরান ও ইন্দোনেশিয়ার মাঝে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরালো করতে ইরানের প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়া সফরে এসে দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সঙ্গে বৈঠক করেন।

রাজধানী জাকার্তার ঠিক বাইরে অবস্থিত বোগরে ঔপনিবেশিক আমলের কায়দায় নির্মিত প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে উইদোদো রাইসিকে স্বাগত জানান। ইন্দোনেশিয়া রপ্তানি বাড়িয়ে মহামারি-পরবর্তী অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করার প্রক্রিয়ার গতি বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে উইদোদোর আমন্ত্রণে ইন্দোনেশিয়া এসেছেন রাইসি।

.দুই দিনের সফরে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক আরও জোরালো হওয়ার কথা রয়েছে। গত মাসে দেশ ২টি পারস্পরিক সুবিধাযুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শেষ করেছে। ২ নেতা মঙ্গলবার এই চুক্তি এবং আরও ১০টি চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়ার সাক্ষী হন।

রাইসির সঙ্গে বৈঠকের পর আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উইদোদো জানান, তারা মধ্যপ্রাচ্য ও ইরানে রপ্তানির সুযোগ সম্প্রসারণ ও বোর্নিও দ্বীপে ইন্দোনেশিয়ার নতুন রাজধানীর উন্নয়নে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইরানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

রাইসি জানান, উভয় দেশ তাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে ২ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করার বিষয়ে আশাবাদী।

ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ গত বছর ২৩ শতাংশ বেড়ে ২৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার হয়েছে।

রাইসি জানান, কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিধিনিষেধ আরোপের পরেও তার দেশ অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে “অভাবনীয় উন্নয়ন” অর্জন করেছে।

রাইসি বলেন, “আজ আমরা যেসব নথি স্বাক্ষর করেছি, সেখানে শত্রুদের হুমকি ও বিধিনিষেধ সত্ত্বেও সব পরিস্থিতিতে দুই দেশের মাঝে সম্পর্কের উন্নয়নের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।”

রাইসি আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি বিধিনিষেধ ও হুমকি আমাদেরকে কোনোভাবেই থামাতে পারবে না। প্রতিবেশী দেশ, মুসলমান দেশ ও যেসব দেশ আমাদের পক্ষে আছে, তাদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা ও যোগাযোগ স্থাপনে আমরা অগ্রাধিকার দেবো”।

ইন্দোনেশিয়া সফরকালে রাইসি হাউজ স্পিকার পুয়ান মহারানী, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি একইসঙ্গে জাকার্তার ইসতিকলাল গ্র্যান্ড মসজিদ পরিদর্শন করবেন, যেটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় মসজিদ। একটি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বক্তব্যও রাখবেন।