সুদানের সংঘর্ষে ১৩ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ

সৌদি আরবের জেদ্দায় আটকে পড়া সুদানবাসীরা পোর্ট সুদান বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। ১১মে, ২০২৩।

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, সুদানের সামরিক বাহিনী এবং শক্তিশালী একটি আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যকার লড়াইয়ে ১৩ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন জানিয়েছে, সংঘর্ষের কারণে সুদানের অভ্যন্তরে ১০ লাখের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ এলাকায় যেতে বাধ্য হয়েছে। প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ মিশর, দক্ষিণ সুদান, চাদ, ইথিওপিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র এবং লিবিয়ায় পালিয়ে গেছে।

জেনারেল আবদেল-ফাত্তাহ বুরহানের নেতৃত্বে সামরিক বাহিনী এবং জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে কয়েক মাস উত্তেজনা বৃদ্ধির পর ১৫ এপ্রিল যুদ্ধ শুরু হয়। এই সংঘাত দেশের ভঙ্গুর গণতন্ত্রকে রূপান্তরের সুদানের আশাকে লাইনচ্যুত করে। সুদানের গণতন্ত্রের যাত্রা ২০২১ সালের অক্টোবরে দুই জেনারেলের নেতৃত্বে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের দ্বারা ব্যাহত হয়েছিল।

সুদানি ডক্টরস সিন্ডিকেট প্রধানত বেসামরিক হতাহতদের হিসাব রাখে। তাদের সাম্প্রতিক হিসাব অনুসারে, সংঘাতে কমপক্ষে ১০৯ শিশুসহ ৮৬৩ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং ৩ হাজার ৫৩০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

যুদ্ধ সুদানে ইতোমধ্যেই ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটিয়েছে। জাতিসংঘের মতে, এই বছর সহায়তার প্রয়োজন এমন মানুষের সংখ্যা ৫৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ কোটি ৪৭ লাখে পৌঁছেছে, যা দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি। আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বলেছে, তাদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য ২৬০ কোটি ডলার প্রয়োজন।