বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ভারত জি-টোয়েন্টি দেশগুলির কাছে কাশ্মীরকে তুলে ধরছে

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরের ডাল লেকে জি-টোয়েন্টি দেশগুলির প্রতিনিধিরা নৌকা ভ্রমণ উপভোগ করেন। ( ২২ মে, ২০২৩)

তিন দশক ধরে চলা ইসলামি বিদ্রোহে বিপর্যস্ত এই অঞ্চলে বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার আশায় ভারত জি-টোয়েন্টি দেশগুলোর পর্যটন কর্মকর্তাদের কাছে কাশ্মীরকে তুলে ধরছে।

জম্মু ও কাশ্মীরের ফেডারেল অঞ্চলটি ১৯৮৯ সাল থেকে জঙ্গি সহিংসতায় জর্জরিত। যার ফলে "ভারতের সুইজারল্যান্ড" নামে পরিচিত এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ পর্যটন খাত ব্যাহত হয়েছে। এখানে বরফে আবৃত পর্বতমালা, সবুজ তৃণভূমি, টিউলিপ বাগান এবং হ্রদ রয়েছে।

এখানে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সহিংসতা হ্রাস পেয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ পর্যটন বৃদ্ধি পেয়েছে।

কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি বলেছেন, ২০২২ সালে রেকর্ড ১৮৪ লক্ষ পর্যটক কাশ্মীর ভ্রমণ করেছে। সরকার আশা করছে, এই সংখ্যা আরও বাড়বে এবং আরও বিদেশী দর্শনার্থী আসবে।

কাশ্মীরের পর্যটন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের হিসেবে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ান থেকে আসা মাত্র ২০ হাজার বিদেশী দর্শনার্থী ছিল। এখন ইউরোপ থেকে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার দিকে মনোনিবেশ করা হয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধান প্রশাসক মনোজ সিনহা শ্রীনগরে জি-টোয়েন্টি ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, "গত ৩০ বছর ধরে প্রায় সব ধর্মের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের এই ভূমিকে আমাদের প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসবাদের শিকার হতে হয়েছে।“

ভারত এই বিদ্রোহের জন্য চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে দোষারোপ করে। যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে।

পারমাণবিক শক্তিধর উভয় প্রতিবেশীই কাশ্মীরকে পুরোপুরি দাবি করে। দুটি দেশই এটিকে কিছু অংশে শাসন করে এবং তিনবার এটি নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।

বিতর্কিত কাশ্মীরে বৈঠক আয়োজনের ভারতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে, সোমবার পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে শত শত মানুষ সমাবেশ করেছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর সফর করেছেন। তিনি জি-২০ সম্মেলনকে অবৈধ এবং বিতর্কিত অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণের বৈধতা পাওয়ার ভারতের প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন।

পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের মিত্র চীন পর্যটন বৈঠকের বিরোধিতা করেছে এবং অংশ নিচ্ছে না। আয়োজকরা জানিয়েছেন, তুরস্ক ও সৌদি আরব শুধু বেসরকারি পর্যটন খাতের কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে।