বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে ইরানের নেতার ইন্দোনেশিয়া সফর

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি তেহরানে সংসদ অধিবেশন চলাকালীন বক্তব্য রাখছেন। ৩০ এপ্রিল, ২০২৩। ফাইল ছবি।

মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট উইডোডোর সাথে সাক্ষাৎ করতে দুদিনের সফরে ইন্দোনেশিয়া গিয়েছেন। এই সফরের লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা।

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, রাইসি উইডোডোর আমন্ত্রণে সফর করছেন। ইন্দোনেশিয়া তার রপ্তানি বৃদ্ধি করে মহামারী পরবর্তী পুনরুদ্ধারকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্য স্থির করেছে।

ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এই সফরটি ইন্দোনেশিয়ার সাথে ইরানের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ তেহরান আন্তর্জাতিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা আধিপত্যের বিকল্প খুঁজছে এবং এই মাসে ইন্দোনেশিয়া-ইরান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তিতে দুই দেশ আলোচনা শেষ করার পরে আরও সহযোগিতা চায়।

মন্ত্রকের তথ্যে দেখা গেছে, ইন্দোনেশিয়া এবং ইরানের মধ্যে জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৪১ লাখ ডলার যেখানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য মূল্য গত বছর ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রকের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পরিচালক জনি মার্থা বলেন, ইরান ইন্দোনেশিয়ার একটি অগতানুগতিক বাণিজ্য অংশীদার ছিল।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম এই অর্থনীতি তার রপ্তানি বিকল্প বাড়াতে এবং ঐতিহ্যগত বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর নির্ভরতা কমাতে নতুন বাজার খুঁজছে, যার বেশিরভাগই দুর্বল বিশ্ব অর্থনীতি এবং ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।

উভয় দেশেরই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ এবং রাশিয়ার পাশাপাশি তারা আমেরিকান শক্তির প্রতিকূল হিসেবে নিজেদেরকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে।

ওয়াশিংটন ইরানের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার কাছে শতাধিক আক্রমণকারী ড্রোন বিক্রির অভিযোগ করেছে এবং ইরানের ড্রোন প্রস্তুতকারক এক নির্বাহীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। একই সময়ে মস্কো এবং বেইজিং-এর মধ্যকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে।