সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ শুক্রবার আরব শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরব রয়েছেন। সেখানে বাশার আল-আসাদ সেই সব নেতাদের সঙ্গে পাশাপাশি বসবেন, যারা বছরের পর বছর ধরে তাকে এড়িয়ে চলছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির বিরোধিতা সত্বেও এটা বড় ধরণের নীতি পরিবর্তন।
২০১১ সালে তার শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হলে কঠোর বলপ্রয়োগে বিক্ষোভ দমন এবং পরবর্তীতে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে বেশিরভাগ আরব রাষ্ট্র আসাদ সরকারের সাথে সম্পর্ক চ্ছিন্ন করে। সেই গৃহযুদ্ধে সাড়ে তিন লাখ মানুষ নিহত হয়।এই ব্লকে তার সরকারের পুনঃপ্রবেশ এই সংকেত দেয় যে আসাদের বিচ্ছিন্নতার অবসান হচ্ছে।
হাস্যোজ্জ্বল আসাদ বৃহস্পতিবার স্বাগতিক শহর জেদ্দায় পৌঁছালে, মক্কা অঞ্চলের ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স বদর বিন সুলতান এবং আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল ঘেইত তাকে স্বাগত জানান।
অন্যান্য সিরীয় কর্মকর্তাদেরসহ আসাদকে সুরক্ষা প্রহরায় রয়্যাল টার্মিনালের অভ্যর্থনা হলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি প্রিন্স বদর এবং আবুল ঘেইত সাথে সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। অভ্যর্থনা হলের দেয়ালে টাঙানো ছিলো সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আবদুল আজিজ, বাদশাহ সালমান এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিশাল প্রতিকৃতি।
শুক্রবার শেষবেলায়, অন্য আরব নেতাদের সাথে আসাদ শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের একটি দ্বিদলীয় গ্রুপ গত সপ্তাহে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসাদকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়া ঠেকাতে এবং ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতা বাড়াতে একটি বিল উত্থাপন করেছে।