বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের কাছে সর্বকালের সর্বসেরা ফুটবলার হিসেবে বিবেচিত পেলের মৃত্যুর ৬ মাস পর তার স্বর্ণখচিত, ফুটবল আকারে নির্মিত সমাধি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ৮২ বছর বয়সে পেলে ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধে হেরে মৃত্যুবরণ করেন। তার প্রয়াণের পর তাকে ব্রাজিলের সান্তোসে অবস্থিত ইকিউমেনিকাল মেমোরিয়াল কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সমাধিস্থল হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অধিকারী এই সমাধিস্থলে ১৪টি তলা রয়েছে।
সমাধিস্থলে ঢোকার পথে ভক্তদের জন্য “ও-রেই” বা রাজা নামে পরিচিত পেলের ২টি লাইফ-সাইজ স্বর্ণখচিত মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। পেলের দেহাবশেষ কৃত্রিম ঘাসে আচ্ছাদিত একটি ২০০ বর্গমিটারে (২ হাজার বর্গফুটের চেয়েও বেশি) দীর্ঘ কক্ষের মাঝখানে বড় ও স্বর্ণের তৈরি একটি কাঠামোর ভেতর রাখা হয়েছে।
এডসন আরানতেস দো নাসিমেন্তো পেলে হচ্ছেন পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি তিনটি ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছেন (১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০)।
পেলে তার ২ দশকের চেয়েও বেশি দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১ হাজার ২৮১টি গোল করে বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করেন। তিনি সান্তোস (১৯৫৬-৭৪), দ্য নিউ ইয়র্ক কসমস (১৯৭৫-৭৭) ও ব্রাজিলের জাতীয় দলের পক্ষে খেলেন।
পেলের দেহাবশেষ ধারণকারী সোনালী কাঠামোর ওপর একটি ক্রুশ রাখা হয়েছে। কাঠামোর ওপর কালো রঙে খোদাই করে তার গোল ও মুষ্টিবদ্ধ হাত উঠিয়ে উদযাপন করার দৃশ্যটিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পুরো কক্ষে ফুটবল স্টেডিয়ামে তার ভক্তদের ছবি সম্বলিত ওয়ালপেপার দিয়ে সাজানো হয়েছে।
অবকাশকেন্দ্রের মতো এই সমাধিস্থলে একটি গাড়ির যাদুঘরও আছে। পেলের ১ হাজারতম গোলটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ১৯৭৪ সালে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মার্সিডিজ বেনজ তাকে একটি এস-২৮০ গাড়ি উপহার দেয়, যা এই যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।