আজ মঙ্গলবার স্থানীয় নেতারা এএফপিকে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় কবলিত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ হয়েছে। গ্রামবাসীরা ভেঙে পড়া বাড়িঘর মেরামতের চেষ্টা করছে এবং ত্রাণ ও সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছে।
ঘণ্টায় ঊর্ধ্বে ১৯৫ কিলোমিটার গতিবেগ সম্বলিত ঘূর্ণিঝড় মোখা রবিবার দেশটিতে আঘাত হানে। এতে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের খুঁটি ডুবে যায় এবং কাঠের তৈরি মাছ ধরার নৌকাগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে স্থানীয় নেতারা এএফপির সংবাদদাতাদের জানান, নির্যাতিত মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায় অধ্যুষিত বু মা এবং এর নিকটবর্তী খাউং দোকে কার গ্রামে অন্তত ৪১ জন মারা গেছেন।
রাজ্যের রাজধানী সিতওয়ের কাছাকাছি অবস্থিত বু মা গ্রামের প্রধান কারলো বলেন, “মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে, ১০০ জনেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছেন।”
প্রায় ১ দশকের মাঝে এ অঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে অসংখ্য গ্রাম কেঁপে উঠেছে, গাছ উপড়ে পড়েছে এবং রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ অংশের মাঝে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সোমবার মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ৫ জনের মৃত্যুসংবাদ সম্পর্কে জানিয়েছে, তবে তারা কোন অঞ্চলে মারা গেছেন, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানায়নি।
জান্তার দেওয়া সংখ্যা বু মা এবং খাউং দোকে কারের নিহতরা অন্তর্ভুক্ত কী না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এএফপি মৃতের হালনাগাদ সংখ্যা সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য জান্তার একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
উত্তর ভারত সাগরের তীরে, যেখানে লাখো কোটি মানুষের বসবাস, সেখানে ঘূর্ণিঝড় একটি নিয়মিত ও প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা উত্তর আটলান্টিকের হারিকেন ও উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টাইফুনের সমকক্ষ।
অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ক্লাইমেটঅ্যানালিটিকস জানিয়েছে, সাইক্লোন মোখার তীব্রতা এতটা বেড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে বাড়তে থাকা তাপমাত্রা।
রোহিঙ্গা গ্রামবাসীরা এএফপিকে জানিয়েছে, তারা এখনো কোনো ধরনের সহায়তা পায়নি।