ভোলার ইলিশা-১ কূপের তৃতীয় স্তরেও গ্যাস পাওয়া গেছে

বাংলাদেশের ভোলা জেলার ইলিশা-১ কূপের তৃতীয় স্তরেও গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর আগে, প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের গ্যাস পাওয়া যায়। সোমবার (১৫ মে) ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের মালেরহাট এলাকায় ইলিশা-১ নামের নতুন কূপে তৃতীয় স্তরের ড্রিল স্টেম টেস্ট (ডিএসটি) পরীক্ষা শুরু হয়।

সকাল থেকে আগুন প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এ গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রম এ উত্তোলন কাজ করছে।

এ কূপের তৃতীয় স্তর থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে জানিয়েছে বাপেক্স)। ২০০ বিসিএফ গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কূপে গ্যাসের চাপ ভালো বলে নিশ্চিত করেছেন বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আলমগীর হোসেন।

আলমগীর হোসেন জানান, “গত ৯ মার্চ ইলিশা-১ কূপ খনন শুরু হয়। তিন হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরতায় ডিএসটি’র মাধ্যমে সফলভাবে কূপ খনন শেষ হয় ১৪ এপ্রিল। এরপর বিভিন্ন ধাপে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তিনটি স্তরে গ্যাসপ্রাপ্তির সম্ভাবনা দেখা যায়। ২৮ এপ্রিল প্রথম, ৭ মে দ্বিতীয় ও ১৫ মে তৃতীয় স্তরে পরীক্ষারমূলকভাবে গ্যাস কূপে আগুন প্রজ্জ্বলন করা হয়।”

মো. আলমগীর হোসেন আরো জানান, “সোমবার কূপটির তৃতীয় স্তরে আগুন প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলনের বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তৃতীয় স্তরের পরীক্ষা শেষে প্রতিটি স্তর থেকে দৈনিক গড়ে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের আশা করা হচ্ছে।”

বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগ জানিয়েছে, গ্যাসের সম্ভাবনা যাচাই করতে, আগামী অক্টোবর থেকে নতুন করে অনুসন্ধান করবে বাপেক্স।

এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামে ভোলা নর্থ-২ নামে একটি কূপে পরীক্ষামূলকভাবে আগুন প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়। ১৯৯৪-৯৫ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহবাজপুরে প্রথমবার গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়।

বাপেক্স সূত্র জানায়, নতুন এই গ্যাসক্ষেত্রের কূপ নিয়ে, জেলায় মোট তিনটি গ্যাসক্ষেত্রে ৯টি কূপ রয়েছে। এগুলো হলো; বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহাবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রে ছয়টি কূপ, সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভোলা নর্থ-এর দুইটি এবং সর্বশেষ, ইলিশা গ্যাসক্ষেত্রে, ইলিশা-১ এর একটি কূপ।

এসব কূপে মজুদ গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ৭ টিসিএফ ঘনফুট বলে ধারণা করা হয়।