নেপালের পাসাং দাওয়া শেরপা ২৬ বার এভারেস্ট জয়ী দ্বিতীয় ব্যক্তি

এক পর্বতারোহী নেপাল থেকে দক্ষিণে যাত্রা করে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ার দিকে যাচ্ছেন; (ফাইল ফটো), ১৭ মে ২০১৮।

নেপালের একজন শেরপা গাইড রবিবার ২৬ বারের মতো মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করেছেন। এর ফলে তিনি হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি এতোবার মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণ করলেন। এ তথ্য জানিয়েছেন হাইকিং কর্মকর্তারা।

সরকারি পর্যটন কর্মকর্তা বিগিয়ান কৈরালা জানান ৪৬ বছর বয়সী পাসাং দাওয়া শেরপা ৮,৮৪৯ মিটার (২৯,০৩২ ফুট) উচ্চতার চূড়ায় উঠেছেন ২৬ বার। এর আগে এতো বার এই চূড়ায় আরোহন করেছে কামি রীতা শেরপা। তার রেকর্ডই ছুঁয়েছেন পাসাং দাওয়া শেরপা।

কামি রীতা এখন এভারেস্ট অভিযানে রয়েছেন। তিনি যদি আবার এই পর্বত শীর্ষে উঠতে পারেন; তবে আরো একটি রেকর্ড গড়তে পারবেন।

পাসাং দাওয়া হাঙ্গেরির এক পর্বতারোহীকে নিয়ে এভারেস্ট শীর্ষে পৌঁছান। এ কথা জানিয়েছেন তার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইমাজিন নেপাল ট্রেকস এক কর্মকর্তা। কর্মকর্তা দাওয়া ফুতি শেরপা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, “তারা এখন পর্বত শীর্ষ থেকে নেমে আসছেন। আর, তারা ভালো অবস্থায় আছেন।“

শেরপারা পরিচয়ের জন্য সাধারণত নিজের নামের প্রথমাংশ ব্যবহার করেন। তারা, তাদের পর্বতারোহণ দক্ষতার জন্য পরিচিত। মূলত বিদেশী পর্বতারোহীদের গাইড হিসেবে কাজ করে তারা জীবিকা নির্বাহ করেন।

দাওয়া ফুতি বলেন, নায়লা কাইয়ানি নামে এক পাকিস্তানি নারীও রবিবার এভারেস্ট শীর্ষে আরোহণ করেছেন। তিনি হলেন প্রথম বিদেশি পর্বতারোহী, যিনি এবছরের মৌসুমে এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণ করেছেন। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত পর্বত আরোহণের মৌসুম গণ্য করা হয়। তবে, এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। একদিন আগে চূড়ায় ওঠার দড়ি স্থাপনের পর, আরো অনেক পর্বতারোহী এখন চূড়ার দিকে রওনা হয়েছেন।

হিমালয়ান টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে, দুবাইয়ে বসবাসরত ৩৭ বছর বয়সী ব্যাংকার কাইয়ানি এভারেস্ট আরোহণের আগে বিশ্বের ১৪টি সর্বোচ্চ পর্বতের মধ্যে চারটিতে আরোহণ করেছেন।

এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণের জন্য বিদেশি পর্বতারোহীদের জন্য এবছর ৪৬৭টি পারমিট ইস্যু করেছে নেপাল। এর আগে কখনো এতো বেশি সংখ্যক বিদেশিকে এভারেস্ট আরোহণের অনুমতি দেয়নি দেশটি।

হিমালয় সংক্রান্ত একটি তথ্যভান্ডার এবং নেপালি কর্মকর্তাদের মতে, ১৯৫৩ সালে স্যার এডমন্ড হিলারি এবং শেরপা তেনজিং নরগে এভারেস্টে আরোহণের পর থেকে, এ পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি বার এভারেস্ট আরোহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ওঠার সময় মারা গেছেন ৩২০ জন।