দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের কর্মী ও সমর্থকরা লাহোরের জামান পার্কে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাসভবনের বাইরে সমবেত হয়েছেন। ১৩ মে, ২০২৩।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রবিবার দেশব্যাপী “মুক্তি” বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। গত সপ্তাহে তাকে গ্রেপ্তার ও কিছু সময়ের জন্য আটক করার পর প্রাণঘাতী বিক্ষোভ শুরু হয়। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি এই বিক্ষোভের ডাক দেন।

গত বছরের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, কয়েক ডজন মামলা দায়ের করা হয় তার বিরুদ্ধে।এক সময়ের ক্রিকেট সুপারস্টার সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুক্রবার জামিনে মুক্তি পান ।

ইমরান খানের গ্রেফতারে ক্ষুব্ধ হয়ে তার সমর্থকরা সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়, সড়ক অবরোধ করে। তারা খানের পতনের জন্য সামরিক বাহিনীকে দায়ী কর, সামরিক বাহিনীর সম্পত্তিও ভাঙচুর করে।

শনিবার রাতে ইউটিউবে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ইমরান খান বলেন, “মুক্তি সহজে আসে না। তোমাকে এটা কেড়ে নিতে হবে। এর জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।" তিনি তার সমর্থকদের প্রতি, রবিবার সারা দেশে, রাজপথে ও গ্রামে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানান। আর, অতি দ্রুত, বুধবার থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় ফিরে আসবেন বলে ঘোষণা দেন।

কয়েক মাস ধরে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের এই নেতা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছেন। গত বছর তাকে হত্যাচেষ্টায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত রয়েছে বলে দাবি করায়, খানের সমালোচানা করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরই মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হন তিনি।

পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী, দেশটির ৭৫ বছরের ইতিহাসে প্রায় অর্ধেক সময় ধরে সরাসরি শাসন করেছে এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর ক্ষমতার চাপ অব্যাহত রেখেছে।

ইমরান খান তার লাহোরের বাসভবনে বলেন, “সেনাপ্রধানের কর্মকাণ্ড আমাদের সামরিক বাহিনীকে খারাপ করেছে। এটা তার জন্য হয়েছে, আমার জন্য নয়।” তবে, এটা স্পষ্ট নয় যে তিনি বর্তমান সেনা প্রধানের প্রতি বলেছেন; নাকি তার পূর্বসুরীর কথা বলেছেন; যাকে তিনি তার ক্ষমতাচ্যুতির জন্য দায়ী মনে করেন।