কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে মোখা মোকাবেলায় প্রস্তুতি

Your browser doesn’t support HTML5

পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় আরও ঘনীভূত হয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে, উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং রবিবার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

এতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে স্বেচ্ছাসেবকরা দুর্যোগ মোকাবেলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দিনব্যাপী মাইকিং করে।

ওদিকে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, “ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার সক্ষমতা সরকারের নেই।”

শনিবার (১৩ মে) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান আরো জানান, “শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়ের নেতৃত্বে সাড়ে চার হাজার স্বেচ্ছাসেবক রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করছে।”

তিনি বলেন, “পাহাড়ে জলোচ্ছ্বাসের কোনো ভয় নেই। তবে ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধস হতে পারে। এটি মাথায় রেখে, আমি স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে বলেছি।”