পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর, কয়েক দিনের আইনি নাটক ও দেশব্যাপী দাঙ্গা শেষে জামিনে মুক্তি পেয়ে শনিবার তার লাহোরের বাসভবনে পৌঁছেছেন। আদালতে নিয়মিত হাজিরা দেয়ার সময় মঙ্গলবার আধাসামরিক বাহিনীর কয়েক ডজন সদ্যস্য ইমরান খানকে ঘিরে ফেলে এবং তাকে গ্রেপ্তার করে। এর পর বেশ কয়েকটি শহরে তার সমর্থক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়।
ক্ষমতাশালী সামরিক বাহিনী তার সমালোচনা করার কয়েক ঘণ্টা পর খানকে আটক করা হয়। গত বছর তার হত্যা চেষ্টায় সেনাবাহিনী জড়িত বলে খান আবারো অভিযোগ করেন।
জামিনের আবেদন করার প্রস্তুতি নেয়ার সময় আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই গ্রেপ্তারকে বৃহস্পতিবার অবৈধ ঘোষণা করে সুপ্রিমকোর্ট। শুক্রবার পর্যন্ত খান আটক থাকেন। পরে এই দুর্নীতি মামলায় দুই সপ্তাহের জামিন পান তিনি। ইসলামাবাদ হাইকোর্টও নির্দেশ দিয়েছে যে, সোমবারের আগে খানকে কোনো মামলায় গ্রেপ্তার করা যাবে না।
গত বছরের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে, ইমরান খান বেশ কয়েকটি মামলায় জড়িয়ে পড়েন। পাকিস্তানের বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের জন্য এটি একটি চলমান সমস্যা।
আদালত ভবন থেকে এএফপিকে ইমরান খান বলেন, “দেশের বৃহত্তম দলের প্রধানকে, হাইকোর্ট থেকে এবং সমগ্র জাতির সামনে অপহরণ করা হয়েছে।“ তিনি বলেন, তার সাথে সন্ত্রাসীতূল্য আচরণ করা হয়েছে।এর প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হয়।
খানকে আটক করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে তার কয়েক হাজার সমর্থক বিভিন্ন শহরে সহিংস বিক্ষোভ শুরু করে। তারা ভবনে আগুন দেয়, সড়ক অবরোধ করে এবং সামরিক স্থাপনার বাইরে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংঘর্ষে অন্তত নয় জন নিহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শত শত পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন এবং চার হাজারের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে; এদের বেশির ভাগই পাঞ্জাব ও খাইবারপাখতুনখোয়া প্রদেশের।
পিটিআই-এর ১০ জন জ্যেষ্ঠ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন ইমরান খানের আইনজীবী ফয়সাল হোসাইন চৌধুরী।