সুদানের যুদ্ধরত দলগুলো বৃহস্পতিবার গভীর রাতেমানবিক সহায়তার অনুমতি দেয়ার নির্দেশিকা বিষয়ক একটি প্রতিশ্রুতিপত্র স্বাক্ষর করেছে; তবে তারা কোনো যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়নি।এ কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
আলোচনায় জড়িত যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা জানান, সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিরা সৌদি আরবের জেদ্দায় “সুদানের বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একটি প্রতিশ্রুতি ঘোষণায়” স্বাক্ষর করেছেন। এই দুই পক্ষ প্রায় এক মাস ধরে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
চুক্তির শর্তানুযায়ী; উভয় পক্ষ মানবিক সহায়তা, বিদ্যুৎ পানি এবং অন্যান্য মৌলিক পরিষেবা পুনঃস্থাপনের অনুমতি দেবে। এছাড়া, হাসপাতাল থেকে নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যাহার করবে এবং মৃতদের “সম্মানজনক সৎকারের” ব্যবস্থা করার অনুমতি দেবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল সুদানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ওপর নজরদারি বৃদ্ধির জন্য একটি প্রস্তাব পাস করতে সক্ষম হয়।দেশটিতে গত মাসে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে শত শত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা মঙ্গলবার বলেছে, গত মাসে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে ৭ লাখের বেশি সুদানি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। এই সংখ্যা, গত সপ্তাহে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের বিষয়ে সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা সংখ্যার দ্বিগুণ। প্রতিবেদনে বাস্তুচ্যুতদের সংখ্যা বলা হয়েছিলো ৩ লাখ ৩৪ হাজার।
ডব্লিউএফপি বুধবার বলেছে, সহিংসতার কারণে অদূর ভবিষ্যতে সুদানে ২৫ লাখ অতিরিক্ত মানুষ “খাদ্যাভাবে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।” জাতিসংঘের সংস্থাটি বলেছে, এটি সুদানের তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতাকে রেকর্ড মাত্রায় নিয়ে যাবে।
ডব্লিএফপি অনুসারে, ১ কোটি ৯০ লাখের বেশি মানুষ বা সুদানের জনসংখ্যার দুই-পঞ্চমাংশ বর্তমানে ক্ষুধা-পীড়িত।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।