এক লাখের বেশি শিশুকে অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলেছে হাইতি সংঘাত, বলেছে জাতিসংঘ

হাইতির পোর্ট-অ-প্রিন্সে অপরাধ চক্রের সদস্যরা একটি পুলিশ স্টেশনে হামলার চেষ্টা করার পর, পুলিশ টহল দেয়া শুরু করলে সড়ক-কোনে জড়ো হওয়া লোকজন; (ফাইল ফটো) ২৫ এপ্রিল ২০২৩। 

হাইতিতে ১ লাখ ১৫ হাজার ৬শ-র বেশি শিশু এই বছর অপুষ্টির কারণে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে।ইউনিসেফ বলেছে, সশস্ত্র সহিংসতা বৃদ্ধির ফলে ব্যাপকভাবে খাদ্য সংকট সৃষ্টি হওয়ায় এবং কলেরা প্রাদুর্ভাবের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

ইউনিসেফ গত বছর এমন পরিস্থিতির শিকার হিসেবে ৮৭ হাজার ৫০০ শিশুকে নিবন্ধিত করে। গত বছরের তুলনায় এবারের সংখ্যা ৩০ শতাংশ বেশি। ইউনিসেফ তহবিলের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ব্যাপক ব্যবধান সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছিলো, এমন পরিস্থিতি “এক লাখের বেশি শিশুর জীবনকে তাৎক্ষনিক মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।”

ব্যাপকভাবে অস্ত্রসজ্জিত অপরাধ চক্রগুলো এই ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্রের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে।আর বেশিরভাগ সহিংস ঘটনা ঘটে রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সকে কেন্দ্র করে। জাতিসংঘ অনুমান অনুসারে, শুধুমাত্র এপ্রিল মাসেে এই শহরে ছয়শ’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার সশস্ত্র অপরাধ চক্রগুলোর বিরুদ্ধে হাইতির লড়াইকে সমর্থন করতে, একটি আন্তর্জাতিক শক্তি গড়ে তোলার জন্য আবার আহ্বান জানানোর পর, ইউনিসেফ এই সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। হেনরির নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গত অক্টোবরে একটি র‌্যাপিড স্ট্রাইক ফোর্স গঠনের জন্য অনুরোধ করেছিলো।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী ব্যুরো সোমবার বলেছে, তারা হাইতির ন্যাশনাল পুলিশের কেনা সাঁজোয়া যানগুলো ইতোমধ্যেই সরবরাহ করেছে।আর, ব্যক্তিমালিকানাধীন কানাডীয় প্রতিষ্ঠান আইএনকেএস-কে দেয়া একটি বিলম্বিত সংগ্রহ-আদেশের সাঁজোয়া যানগুলো এখন সরবরাহের অপেক্ষায় রয়েছে।

এদিকে “বওয়া কালে” নামে পরিচিত তৃণমূল জনতার একটি ন্যায়বিচার আন্দোলন সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শক্তি অর্জন করেছে।এই সংগঠনের সদস্যরা অপরাধ চক্রের সদস্যদে চ্যালেঞ্জ করে এবং সংক্ষিপ্ত বিচারে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। এই বিষয়টি মানুষের মধ্যে আশা এবং নতুন করে সহিংসতার ভীতি জন্ম দিয়েছে।

জাতিসংঘের সংস্থাগুলো হাইতিতে দীর্ঘ দিন ধরে হতবিলের স্বল্প জোগান এবং “বিপর্যয়কর” ক্ষুধার বিষয়ে বারবার সতর্ক করে বলেছে, ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মূলে রয়েছে মৌলিক পরিষেবার অভাব।