পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে

পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফের কর্মী এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকরা ১১ মে লাহোরে ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে "অবৈধ" ঘোষণার পরে উল্লাস করে।

পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার দেশটির জনপ্রিয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির আদেশ দিয়েছে। তাঁকে নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার ও আটক করার পর দেশব্যাপী সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়।

মঙ্গলবার রাজধানী ইসলামাবাদে আদালতে শুনানির জন্য অপেক্ষারত ৭০ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেট তারকাকে আধাসামরিক বাহিনী বাইরে টেনে নিয়ে যায় এবং তাঁকে ঠেলে সাঁজোয়া গাড়িতে তুলে নেয়।

ইমরান খানের মুক্তির আদেশে উল্লসিত সমর্থকরা সুপ্রিম কোর্টের বাইরে নাচছিল। ঐ রায়ে খানকে শুক্রবার ফেডারেল হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় যেখান থেকে তাকে "অবৈধভাবে" গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

এর আগে পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি আতা বান্দিয়াল ইমরান খানকে রাজধানীর একটি পুলিশ গেস্টহাউসে রাখা এবং তাকে পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্য ও আইনি উপদেষ্টাদের সঙ্গে বিনা বাধায় দেখা সাক্ষাত করতে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

প্রধান বিচারপতি বান্দিয়াল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ থাকার আহ্বান জানানোর জন্যও ইমরান খানকে অনুরোধ জানান।

এর আগে বৃহস্পতিবার পুলিশ ও পিটিআই কর্মকর্তারা জানান যে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় নেতৃস্থানীয় এবং ২হাজারেরও বেশি ইমরান খানের সমর্থককে ভীতি প্রদর্শন, দাঙ্গা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বা তারা ঐ ধরণের হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

খানকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করার পর দেশব্যাপী দ্রুত, ব্যাপক ও সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে এর পাল্টা জবাবে ঐ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এরপর থেকে নারী-পুরুষসহ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দাঙ্গা পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত আটজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, পাকিস্তান পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর “গুলি চালিয়েছে এবং অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছে।”